মাসুদ আজহারকে সমর্থন: চীনা পণ্য বর্জনের ডাক ভারতে

ভারতে জঙ্গি হামলার দায়ে জাতিসংঘে জইশ-ই-মুহাম্মদের নেতা মাসুদ আজহারকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী ঘোষণার প্রস্তাব চীন ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে আটকে দেওয়ায় চীনা পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন ভারতীয় টুইটার ব্যবহারকারীরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এখবর জানিয়েছে।

china-5-e1552544321353

পুলওয়ামায় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর জঙ্গি হামলার জেরে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে কাশ্মিরের পাকিস্তান অংশে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী। পরদিন দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে ভারতীয় এক পাইলটকে আটক করে পাকিস্তান। দুই দিন পর অভিনন্দন বর্তমান নামের ওই ভারতীয় পাইলটকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান। এরপর দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা কিছুটা থিতু হয়ে আসে। পুলওয়ামা হামলার জন্য মাসুদ আজহারের জইশ-ই-মুহাম্মদকে দায়ী করে আসছে ভারত।

গত দশ বছরের মধ্যে চতুর্থবারের মতো জাতিসংঘে মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাব আনার পর চীনের বিরোধিতায় তা আটকে গেছে। মুম্বাই হামলায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে ২০০৯ সালে মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাব দেয় ভারত। ২০১৬ সালে পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে হামলার পর আবারও জাতিসংঘের ১২৬৭ নিষেধাজ্ঞা কমিটিতে তিন স্থায়ী সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে তাকে নিষিদ্ধ করবার প্রস্তাব দেয় ভারত। ২০১৭ সালেও তিন স্থায়ী সদস্য দেশ আবারও একই ধরনের প্রস্তাব আনে। প্রতিবারই নিষেধাজ্ঞা কমিটিতে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে ভারতের প্রস্তাব আটকে দেয় চীন।

মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসী ঘোষণার প্রস্তাব চীন ভেটো দিয়ে আটকে দেওয়ায় ভারতীয় মধ্যে ক্ষোভ শুরু হয়েছে। এর জের ধরে সামাজিক মাধ্যম টুইটার ব্যবহারকারীরা #boycottChineseProducts হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে চীনা পণ্য বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছেন।

ইয়োগা গুরু বাবা রামদেব ভারতে চীনা পণ্য নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। টুইটারে তিনি বলেন, মাসুদ আজহারের সমর্থক চীন ও দেশটির মানুষদের আমাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে বর্জন করা উচিত। চীন শুধু একটি ভাষাই বুঝে তা হলো বাণিজ্য। আর্থিক বর্জন যুদ্ধের চেয়ে শক্তিশালী।

রামদেব ছাড়াও অনেক টুইটার ব্যবহারকারী একইভাবে চীনা পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন।

শ্রীকান্ত নামের এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দেওয়ায় চীনা পণ্য বর্জন করুন। একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে আমি চীনা পণ্য আর কিনব না। আমার করণীয় আমি করতেছি। এবার তাদেরকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদিকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।