মোদি টিভি, মোদি অ্যাপ, মোদি সমাবেশ: নির্বাচনে ‘ব্র্যান্ড মোদি’র ভূমিকা

এই বসন্তে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদি সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হন, যেমনটা আশা করা হচ্ছে, তাহলে এটা হবে ভারতের প্রতিটি ঘরে ঘরে 'ব্র্যান্ড মোদি'কে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গড়ে তোলা মার্কেটিং ব্যবস্থার বড় বিজয়।

1440x810_modi-tv-modi-app-modi-rallies-how-brand-modi-plays-in-indian-election

জনমত জরিপগুলোতে মোদি ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তিনি ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পারছেন। তার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) প্রচলিত যোগাযোগ ব্যবস্থা বাদ দিয়ে অত্যাধুনিক পদ্ধতি গ্রহণ করেছে।

সম্প্রতি ৬৮ বছরের এই নেতাকে উৎসর্গ করে নমো টিভি’র যাত্রা শুরু হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি নামের একটি মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড হয়েছে দশ কোটির বেশি এবং ভারতের সবগুলো জনপ্রিয় সামাজিকমাধ্যমে রয়েছে তার অসংখ্য অনুসারী।

টুইটারে মোদি ও বিজেপির মিলিত ফলোয়ার সংখ্যা ৫৭.৫ মিলিয়ন। যা প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ও দলটির সভাপতি রাহুল গান্ধীর সম্মিলিত ফলোয়ারের চেয়ে চারগুণ বেশি।

টুইটারে বিশ্বনেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফলোয়ার থাকা নেতার মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মোদি। তার আগে রয়েছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপি দাবি করে, বিশ্বের যে কোনও রাজনৈতিক দলের চেয়ে তাদের সদস্য সংখ্যা বেশি।

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হবে ১১ এপ্রিল, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত।

জরিপকারীদের মতে, নির্বাচনের পর মোদির সরকার গঠনের সম্ভাবনাই বেশি। তবে প্রশ্ন হচ্ছে তিনি কি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবেন নাকি তাকে জোট সরকার গঠনে বাধ্য হতে হবে।

নির্বাচনি প্রচারণা এখন তুঙ্গে। বিজেপির দাবি, বিভিন্ন সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে মোদি প্রতিদিন আড়াই লাখের বেশি মানুষের কাছে স্বশরীরে উপস্থিত হচ্ছে। এসব সমাবেশের অধিকাংশই বিভিন্ন মাধ্যম ও সরকারি সম্প্রচারমাধ্যমসহ বিভিন্ন চ্যানেলে সরাসরি প্রচার করা হচ্ছে।

বিজেপি পররাষ্ট্র বিষয়ক দায়িত্বে থাকা বিজয় চৌথাইওয়ালে বলেন, মোদি প্রতিদিন তিন থেকে চারটি সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছেন। একটি সমাবেশে তিন থেকে চারটি সংসদীয় আসন থাকছে। গত রবিবারে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে মোদির আলোচনার টেলিভিশন অনুষ্ঠান দেখেছেন ১ কোটি দর্শক।

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ, রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম ও নমো টিভিতে প্রচারণা সম্প্রচার করে অন্যায্য সুবিধা নিচ্ছে বিজেপি। ক্ষমতাসীন দলটি এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও নির্বাচন কমিশন তা খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে।