‘অবৈধ অভিবাসী’দের জন্য মুম্বাইয়ে তৈরি হচ্ছে আটক কেন্দ্র: এনডিটিভি

মুম্বাইয়ের কাছে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ও অভিবাসীদের জন্য ডিটেনশন সেন্টার বা আটক কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। এজন্যজমি চেয়ে রাজ্যের পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখেছে স্বরাষ্ট্র দফতর। সূত্রের বরাত দিয়ে এখবর জানিয়েছে এনডিটিভি। আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা প্রকাশের পর এখবর জানা গেলো। চূড়ান্ত তালিকায় নাগরিকত্ব তালিকা থেকে ১৯ লাখ মানুষ বাদ পড়ে রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আপিল শেষে নাগরিকত্ব না পাওয়া মানুষদের বিভিন্ন আটক কেন্দ্রে পাঠানো হবে।

NRCPG10

সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানায়, নেরুল এলাকায় দুই থেকে তিন একর জমি চেয়ে তাদের থেকে জমি চাওয়া হয়েছে, এই এলাকাটি জনবসতি এবং বাণিজ্যিক এলাকা এবং মুম্বই শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে।

তবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনও চিঠি দেওয়ার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। চলতি বছরের গোড়ার দিকে কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী, দেশের যে সব এলাকায় বেশি অনুপ্রবেশকারীর বাস রয়েছে, সেখানে ডিনেটশন সেন্টার তৈরি করতে হবে।

কয়েকমাস পরেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। এমন সময় মুম্বাইয়ে অবৈধ বাংলাদেশিদের বসবাস এবং কাজ করার অভিযোগ তুলেছে শিবসেনা। গত সপ্তাহে সংবাদসংস্থা এএনআইকে শিবসেনা নেতা অরবিন্দ সাওয়ান্ত বলেন, ‘রাজ্যের প্রকৃত নাগরিকদের সমস্যার সমাধানে আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জী তৈরির প্রয়োজন ছিল। সেই কারণে আমরা এনআরসির পদক্ষেপকে সমর্থন জানাই। আমরা মহারাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশিদের তাড়াতে মুম্বাইয়েও একই পদক্ষেপ চাই’।

এ বছরের শুরুর দিকে, রাজস্থানে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে অমিত শাহ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ‘উইপোকা’ বলে মন্তব্য করেন। ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ইশতেহারে অন্যতম ইস্যু ছিল নাগরিক তালিকা চূড়ান্ত করা।

জুলাইয়ে রাজ্যসভায় অমিত শাহ বলেন, ‘দেশের মাটির প্রতিটি ইঞ্চিতে’ থাকা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে চায় সরকার। রবিবার উত্তর-পূর্ব কাউন্সিলের বৈঠকেও তিনি বলেন, ‘একজন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকেও থাকতে দেওয়া হবে না’।

বিহারের মন্ত্রিসভার বিজেপি সদস্যরাও সেখানে একই আওয়াজ তুলেছেন। রাজ্যটিতে জনতা দল ইউনাইটেডের সঙ্গে ক্ষমতাসীন জোটে রয়েছে বিজেপি।

মে মাসে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত ৫০ লাখ রুপি ব্যয়ে নির্মিত একটি আটক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছিলেন। আসামে যেসব আটক কেন্দ্র রয়েছে সেগুলো কারাগারের অভ্যন্তরে তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যের গোয়ালপাড়া জেলায় ৩ হাজার বন্দি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ১০টি আটক কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। এ কাজে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৪৬ কোটি রুপি।