কেরালা, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে জেএমবি: এনআইএ প্রধান

ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)-এর মহাপরিচালক ওয়াইসি মোদি বলেছেন, ভারতে ছড়িয়ে পড়ছে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর কার্যক্রম। এরই মধ্যে কেরালা, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের বিস্তৃতি ঘটিয়েছে জেএমবি। সোমবার সন্ত্রাস দমন কর্মকর্তাদের সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

875689-nia-dg

 

এনআইএ প্রধান ভাষণে পলাতক ২৫ জন জেএমবি জঙ্গির তালিকা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, জঙ্গিদের গ্রেফতারের জন্য এই তালিকা বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এমন জঙ্গিগোষ্ঠী মোকাবিলায় রাজ্যগুলোর সহযোগিতা নিয়ে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমরা কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এবং সন্ত্রাস মোকাবিলায় একই ধরনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করছি।

ভারতীয় কর্মকর্তা দাবি করেন, বাংলাদেশি অভিবাসীদের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিস্তৃতি ঘটাচ্ছে জেএমবি।

২০০৮ সালে পশ্চিমবঙ্গে কর্মকাণ্ড শুরু করে জেএমবি। ওই সময় গ্রেফতার এড়াতে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যায় জেএমবির দুই শীর্ষ নেতা। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরই বাংলাদেশে সিরিজ বিস্ফোরণ ঘটায় জেএমবি। এই সিরিজ হামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ছিল পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি। পশ্চিমবঙ্গে ঘাঁটি গড়ে নীরবে জঙ্গি সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ শুরু করে তারা। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশি অভিবাসীদের ওপর ভর করে ভারতের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে জেএমবি।

এনআইএ’র সিনিয়র কর্মকর্তা অলোক মিত্তাল জানান, গত কয়েক বছরে ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে ১২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। এদের মধ্যে তামিল নাড়ুতে ৩৩, উত্তর প্রদেশে ১৯, কেরালায় ১৭, তেলেঙ্গানায় ১৪, মহারাষ্ট্রে ১২, কর্নাটকে ৮ ও দিল্লিতে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য যেসব রাজ্য থেকে আইএস সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই রাজ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু-কাশ্মির, রাজস্থান, গুজরাট, বিহার ও মধ্যপ্রদেশ।

এনআইএ পরিচালক বলেন, গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজনদের মধ্যে একটি বিষয়ে মিল পাওয়া গেছে, আর তা হলো জাকির নায়েক।

২০১৬ সালে ঢাকায় হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজরে আসেন বিতর্কিত এই ইসলামি বক্তা। তদন্তে উঠে আসে তার নাম।

মুম্বাইয়ে জন্ম নেওয়া পিস টিভির প্রতিষ্ঠাতা ২০১৭ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় বাস করছেন। সেখানেও তিনি সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়েছেন। কয়েকটি প্রদেশে জাকির নায়েকের ভাষণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে মালয়েশিয়ার সরকার জানিয়েছে তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে না।