জেএনইউ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ ‘অমানবিক’: বিজেপিকে শিবসেনার আক্রমণ

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জের ঘটনায় ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-কে আক্রমণ করেছে সাবেক জোট মিত্র শিবসেনা। দলটির মুখপত্র সামানা-তে প্রকাশিত এক সম্পাদকীয় প্রবন্ধে এই সমালোচনা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যদি কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকতে এমন ঘটনা হতো তাহলে বিজেপি পুলিশের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ করত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এখবর জানিয়েছে।

jnu

মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার পর জোটমিত্র শিবসেনার সঙ্গে তাদের টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে রাজ্যটিতে সরকার গঠন পারছে না বিজেপি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, সরকার গঠনে কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে আলোচনা করছে শিবসেনারা। এই অবস্থায় দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের সমালোচনা করল কট্টর হিন্দুবাদী সেনারা।

শিবসেনার মুখপত্রে বলা হয়েছে, দিল্লিতে জেএনইউ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ অমানবিক। যদি এমন ঘটনা কংগ্রেসের শাসনামলে ঘটত তাহলে বিজেপি পার্লামেন্টে হট্টগোল করত এবং এবিভিপির দেশজুড়ে ধর্মঘট ডাকত।

সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, পুলিশবাহিনী যেভাবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়েছে তারা জনগণের সেবক ও আইনের রক্ষক হতে পারে না। অন্তত শিক্ষার্থীদের পদদলিত করবেন না। কোনও সরকারকেই এমন উন্মত্তার সঙ্গে পরিচালিত হওয়া উচিত না।

শিবসেনা প্রশ্ন তুলেছে, কেন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহিংসতা এড়াতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আগেই সাক্ষাৎ করলেন না।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদে জেএনএউ শিক্ষার্থীরা পার্লামেন্ট অভিমুখে মিছিল বের করে। তাদের বাধা দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে সংঘাত সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পার্লামেন্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত সপ্তাহে জনসম্পদ ও উন্নয়নমন্ত্রী রামেশ পখিরিয়ালকে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিকাল এডুকেশন ক্যাম্পাসে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ রাখা হয়েছিলো। সেখানে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন তিনি। তবে নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে তাকে আটকে দেয়।