রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার দ্রুত বিচার চাইলেন কানহাইয়া কুমার

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) সাবেক ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, আমি কোনও দেশবিরোধী স্লোগান দেইনি। আমি চাই, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের মাধ্যমে দ্রুত বিচার । এ বিষয়ে আদালতেই সিদ্ধান্ত হোক। টিভি স্টুডিওতে বিচারসভা বসিয়ে নয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এখবর জানিয়েছে।

39f3ecf974f6c0c7fb5feee478e846b7-5e593f0f611ca

জেএনইউয়ের সাবেক ছাত্রদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি জনসভা আয়োজনের অভিযোগ তোলা হয়, যেখানে তারা দেশবিরোধী স্লোগান তোলেন। ভারতীয় পার্লামেন্টে হামলায় অভিযুক্ত কাশ্মিরি নেতা আফজাল গুরুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। প্রায় এক বছর আগে ওই মামলায় কানহাইয়াসহ আরও নয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। তবে আদালত তা প্রত্যাখ্যান করে জানায় এই মামলা চালিয়ে যেতে হলে রাজ্য সরকারের অনুমোদন নিতে হবে। শুক্রবার কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা চালিয়ে যেতে পুলিশকে অনুমোদন দিয়েছে দিল্লির রাজ্য সরকার।

রাজ্য সরকারের অনুমোদনের বিষয়ে কানহাইয়া কুমার বলেন, কেন আইনি পদক্ষেপের সম্মতি দিলো তা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার রাজনৈতিক খেলা খেলতে রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইনের অপব্যবহার করছে।

কানহাইয়া কুমার বলেন, ‘সময়টা দেখুন। লোকসভা নির্বাচনের আগে চার্জশিট দাখিল করা হলো (বিহারের বেগুসরাই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন)। আর এবার আমি বিহার নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। দেশের লোকের জানা উচিত কীভাবে রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইনের অপব্যবহার হচ্ছে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য। দেবেন্দর সিংহের বিরুদ্ধে কোনও মামলা রুজু করা হয়নি।’

কেজরিওয়ালের দলের  বিধায়ক ও মুখপাত্র রাঘব চাড্ডা মামলার অনুমোদনকে বিচারাধীন বিষয় বলে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, দিল্লি সরকার নীতিগত কারণে এই ধরনের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।

জেএনইউয়ের সাবেক ছাত্র উমর খালিদ বলেছেন, ‘আমি মনে করি না বিষয়টা নিছক পদ্ধতিগত। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় সরকারের অনুমোদন লাগে। দিল্লি সরকারের কৌঁসুলী জানিয়েছিলেন অনুমতি দেওয়া হবে না। তাহলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হলো কেন?’