১০-১৫ মিনিট রোদে বসলে করোনা মরে যাবে: ভারতীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও ঠেকানো যাচ্ছে না ভাইরাসটির বিস্তার। বৃহস্পতিবার দেশটিতে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চতুর্থ ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ভাইরাস নিয়ে দেশটিতে গোমুত্র পার্টি ও ইসকন মন্দ্রিরে গোমুত্র দিয়ে হাত ধোয়ানোর মতো অভিনব উদ্যোগের কথা জানা গিয়েছিল। এবার দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, দুপুরে সূর্যের প্রখর রোদে ১০-১৫ মিনিট বসে থাকলে করোনার মতো ভাইরাস মরে যাবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্ক্রল এ খবর জানিয়েছে।

85849-bczrgaowfv-1571136263

বৃহস্পতিবার ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৩ জনে। এদের মধ্যেই পাঞ্জাবে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। জানা গেছে,  ওই ব্যক্তি কয়েকদিন আগে ইতালি থেকে ফিরেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে বিদেশি সব ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতেও আসবে না কোনও বিদেশি ফ্লাইট। আগামী ২২ মার্চ থেকে ১ সপ্তাহের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।  

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে দাবি করেছেন, করোনাভাইরাস হত্যা করতে পারে 'সূর্য'। বার্তা সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে সূর্য সবচেয়ে বেশি প্রখর থাকে। আমরা যদি ১০ থেকে ১৫ মিনিট রোদে বসে থাকি তবে আমাদের ভিটামিন ডি-এর মাত্রা আরও উন্নত হবে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও উন্নত করবে এবং করোনাভাইরাস জাতীয় ভাইরাসকে মেরে ফেলবে।’

ভারতে করোনার বিস্তার বাড়তে থাকায় এমন অনেক ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন দেশটির রাজনীতিকরা। কেউ কেউ বলছেন, গোমুত্র ও গোবর কোভিড-১৯ রোগ সারাতে পারে।

বুধবার দেশটিতে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্য নারায়ণ চন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে গোমুত্র পান প্রতিযোগিতা আয়োজনের কারণে। কলকাতায় আয়োজিত এই গোমুত্র পান কর্মসূচিতে দাবি করা হয়েছিল, এতে করে করোনার সংক্রমণ ঠেকানো যাবে। গোমুত্র পানের পর এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটারের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ১৭৬টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯ হাজার।  বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ১৪৯ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৮২ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৫ হাজার ৭৯২ জন।