সংগীত আর কবিতায় চিরবৈরিতার সম্মিলন

nonameশিল্পের সীমানা নাই- কথাটা বহুল ব্যবহারেও জীর্ণ হয় না। হয় না বলেই ভারতের এক কবির কবিতা গিয়ে সম্মিলিত হয় পাকিস্তানের এক গজলে। আবারও প্রমাণিত হয়, শিল্প জাতীয়তার উর্ধ্বে, তা কাটাতার আর সীমানা মানে না।
পাকিস্তানের কিংবদন্তী গায়িকা ফরিদা খানম। কোনও আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই বিষাদগ্রস্ত কণ্ঠে ও খালি গলায় বিখ্যাত গজল ‘আজ জানে কি জিদ না করো’ গেয়ে পাকিস্তানিদের মন জয় করেছেন তিনি। তার চেয়ে বড় কথা প্রবীণ এ শিল্পীর কণ্ঠে এ গজল ভারতীয়দের কাছেও ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে।
এই গজল শুনে নয়া দিল্লির কবি অখিল কাতিয়াল ফরিদা খানমকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটা কবিতা লিখেছেন। অখিল শুরুটা করেছেন এভাবে-
এখনও যখন ফরিদা খানম গজল গাইতে থাকেন
কণ্ঠে তিনি বয়স লুকান না
তার পরিবর্তে
তার কণ্ঠে থাকে বাঁক
কিছুক্ষণের জন্য তা ধরে রাখেন

আমাদের আবেশে ডুবিয়ে দেওয়ার আগে।

এখন যখন তিনি গাইতে থাকেন

তিনি জানেন

গানের কথা যখন শেষ হয়ে যাবে

তার কণ্ঠ যখন থেমে যাবে

পাখির মতো

তিনি যাবেন না।

 

বিখ্যাত এ গজলটি লিখেছেন ফাইয়াজ হাশমি ও সংগীত পরিচালনা করেছেন সোহাইল রানা।

এ বছর কোক স্টুডিও’র সিজন-৮- এ ‘আজ জানে কি জিদ না করো’ গজলটি গাওয়া হয়েছে। প্রয়াত গায়ক হাবিব ওয়ালি মুহাম্মদও গজলটি ‘বাদল অউর বিজলি’ সিনেমায় গেয়েছিলেন। সূত্র: ডন।

/এএ/বিএ/