পশ্চিমবঙ্গে গুলির জন্য মমতার উসকানিকে দায়ী করলেন মোদি

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে পাঁচ জন নিহত হওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উসকানিকে দায়ী করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যটিতে এক নির্বাচনি সমাবেশে যোগ দিয়ে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানান তিনি। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিধানসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের মধ্যে শনিবার পশ্চিমবঙ্গের কুচ বিহার জেলায় বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত হয়েছে। শীতলকুচির জোড়পাটকির বুথের বাইরে সংঘর্ষে জড়ায় প্রতিদ্বন্দ্বি দুই দলের সমর্থক ও কর্মীরা। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি নিহতরা সবাই তাদের কর্মী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করেছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলটি।

ওই ঘটনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘কুচবিহারে যা ঘটেছে তা দুঃখজনক... স্বজন হারানো পরিবারের প্রতি সমবেদনা। বিজেপি’র ওপর মানুষের সমর্থন দেখে ঘাবড়ে গিয়ে মমতা দিদি ও তার গুণ্ডাবাহিনী এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দিদি ও তাঁর গুণ্ডাবাহিনী ঘাবড়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে আক্রমণ করছে। নির্বাচন কমিশনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করছি।’

নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘মমতা দিদি এখন নির্বাচনি সভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার নির্দেশনা দিচ্ছেন। ছাপ্পা ভোট দেওয়ার নির্দেশনাও দিচ্ছেন তিনি। এসব করে কিছু হবে না। নিজের লোকেরা ছাপ্পা ভোট দিতে পারছে না বলে দিদি রেগে যাচ্ছেন। আমাকেও খারাপ কথা বলছেন।’

উল্লেখ্য, সহিংসতার পর শীতলকুচিতে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই ঘটনা নিয়ে বিকেল পাঁচটার মধ্যে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

শনিবার পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ দফার নির্বাচনে ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। পরে আরও চার ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।