নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ধর্নায় বসার ঘোষণা মমতার

নির্বাচনি প্রচারে একদিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রতিবাদে ধর্নায় বসার ঘোষণা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের শেষ কর্মদিবসে ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনিল অরোরা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরই এক টুইট বার্তায় এই ঘোষণা দেন মমতা। মঙ্গলবার কলকাতায় গান্ধী মূর্তির নিচে ধর্নায় বসবেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

গত ৩ এপ্রিল হুগলির তারকেশ্বরে রাখা এক বক্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘু মুসলিমদের ভোট অন্য দলের সঙ্গে ভাগাভাগি না করার আহ্বান জানান। ওই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে বলে তাকে নোটিশ পাঠায় কমিশন। এছাড়া গত শনিবার কুচবিহারে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে পাঁচ জন নিহত হয়। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী বিজেপি’র পক্ষ হয়ে কাজ করছে অভিযোগ তুলে তাদের প্রতিরোধের আহ্বান জানান মমতা। এ নিয়েও তাকে নোটিশ পাঠানো হয়। এসব নোটিশের জবাব পাঠান মমতা। তবে তাতে সন্তুষ্ট নয় কমিশন।

সোমবার রাত আটটার দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নির্বাচন কমিশন। এরপরই এক টুইট বার্তায় ওই নিষেধাজ্ঞাকে অসাংবিধানিক আখ্যা দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমি বেলা ১২টা থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসছি।’

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাও। রাজ্যসভার আইনপ্রণেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং দলটির মুখপাত্র কুণাল ঘোষও এই নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ডেরেক ও’ব্রায়েন এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের অবস্থান মারাত্মক একপেশে।’