ভবানীপুরে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন মমতা!

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার এক মাসও হয়নি। এর মধ্যেই পদত্যাগ করলেন ভবানীপুরের বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের নতুন কৃষিমন্ত্রী নির্বাচনে বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষকে বিপুল ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে তিনি পদত্যাগ করেছেন। শুক্রবার বিধানসভায় গিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগ পত্র জমা দেন তৃণমূল নেতা।

তৃণমূল সূত্রের খবর, ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপ-নির্বাচনে তিনি নিজের পুরনো কেন্দ্র থেকে লড়বেন বলে শোনা যাচ্ছে। বিধায়ক হিসেবে এবং মন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের মাসখানেকও হয়নি। এর মধ্যেই শোভনদেবের এই পদত্যাগ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

শুক্রবার বিধানসভার স্পিকার শোভনদেবের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন। স্পিকার বলেন, আমি শোভনদেবকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি কোনও চাপে না পড়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন কি না। তার কথায় আশ্বস্ত হয়েছি। এবং পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি।

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে নন্দীগ্রাম আসনে হেরে গিয়েছেন। তাই নিয়ম অনুযায়ী, তাকে ছমাসের মধ্যে একটি আসন থেকে জিতে আসতে হবে। ভবানীপুর তার নিজের কেন্দ্র। নির্বাচনি প্রচারেও তিনি বলেছিলেন, ভবানীপুর আমার বড় বোন, নন্দীগ্রাম ছোট বোন। তার নির্বাচনী বুথও ভবানীপুরেই পড়ে।

শোভনদেবের পদত্যাগে নতুন আরেকটি প্রশ্ন হাজির হয়েছে। তিনি কোন আসন থেকে জিতে বিধানসভায় যাবেন। না কি বিধান পরিষদে যাবেন না বর্ষীয়াণ এই নেতা, সেটাও স্পষ্ট নয়। শোনা যাচ্ছে, রাজ্যসভায় তাকে পাঠানো হতে পারে। তবে সবটাই জল্পনা স্তরে রয়েছে।

তৃণমূলের তরফে অবস্থান স্পষ্ট করলেই জানা যাবে শোভনদেবের ভবিষ্যৎ কেমন হতে যাচ্ছে।