৬৭ বছর বয়সে পিএইচডি ডিগ্রি

সফলতার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা আর প্রতিজ্ঞার এক আশ্চর্যজনক মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন ভারতের গুজরাট রাজ্যের ভদোদারার এক নারী। ৬৭ বছর বয়সে এসে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি।  

২০ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায় উষা লোদায়ার। ছেলের বউয়ের সহযোগিতায় অবশেষে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছেন তিনি।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উষা বলেন, ‘যখন বিয়ে হয়ে যায় তখন স্নাতক প্রথম বর্ষে পড়ি। সবসময় ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম। বাবা-মা চেয়েছিলেন বিয়ের পর আমি পড়াশুনা চালিয়ে যাই, কিন্তু নিজের পরিবারের প্রতি মনোযোগ দিতে গিয়ে সেটা আর পারিনি। কিন্তু এখন আমি তৃপ্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘মহারাষ্ট্রভিত্তিক শত্রুঞ্জয় অ্যাকাডেমির জৈনইজম নিয়ে স্নাতক কোর্সের কথা যখন জানতে পারি তখন ভাবলাম এই সুযোগ হারানো যাবে না আর এই কোর্সের প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে গেলাম। এটা ছিলো অনলাইন কোর্স। স্নাতক সম্পন্ন করার পর মাস্টার্স সম্পন্ন করি। এরপরে মার্কসের ভিত্তিতে আমি পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সুযোগ পাই।’

একজন দাদী ও নানী হিসেবে উষা লোদায়ার নাতি-নাতনিদের শিখিয়েছেন কখনও আশা হারানো যাবে না। তার দর্শন হলো প্রথমেই নিজের লক্ষ্য স্থির করা। আর কেউ যদি সাহস না হারিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে যেতে থাকে তাহলে একদিন তিনি নিশ্চয়ই তার লক্ষ্য অর্জন করবেন।

উষার ছেলের বউ নিজেকে গর্বিত পুত্রবধূ দাবি করে নিষা লোদায়া বলেন, ‘আমার শ্বাশুড়ি প্রতিদিন ছয় থেকে সাত ঘণ্টা পড়াশুনা করেছেন। এটা সত্যি যে পরিবার তাকে সমর্থন না করলে এই লক্ষ্য অর্জন তার জন্য কঠিন হতো। তার স্বামী আর বেঁচে নেই কিন্তু তার ছেলে আর আমি তাকে নৈতিক সমর্থন দিয়ে গেছি। আমি এক গর্বিত পুত্রবধূ।’