সীমান্ত বিরোধ চীনের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে: এস জয়শঙ্কর

সীমান্ত বিরোধ নিরসনকে অগ্রাধিকার দিতে সম্মত হয়েছে চীন ও ভারত। বিদ্যমান পরিস্থিতি বিলম্বিত হলে তা কোনও পক্ষেরই স্বার্থের অনুকূলে যাবে না বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যকার বৈঠকের পর দিল্লির এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। এতে সীমান্ত পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়, এটা সম্পর্কের ওপর দৃশ্যত নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

আট দেশের আঞ্চলিক জোট সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে আলোচনা করেন এস জয়শঙ্কর এবং ওয়াং ই। তাজিকিস্তানে অনুষ্ঠিত প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে চীন ও ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে আলোচনা করেন।

ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে যে একক সিদ্ধান্তে স্থিতাবস্থা বদল গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের বন্ধন জোরালো করতে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা সম্পূর্ণ পুনর্বহাল এবং বজায় রাখা জরুরি। ঊর্ধ্বতন সেনা কমান্ডারদের বৈঠক আয়োজনে সম্মতি এসেছে।’

গত বছরের সেপ্টেম্বরে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে এস জয়শঙ্কর সেই সময়ে একমত হওয়া বিষয়গুলো বাস্তবায়নের উপর জোর দেন।

নয় মাসের উত্তেজনার পর এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্যাংগন লেকের উত্তর ও দক্ষিণ তীর থেকে সেনা সরিয়ে নিতে সম্মত হয় চীন ও ভারত। তবে সেই সম্মতি পালন করা নিয়ে দুই দেশেরই ভিন্ন মনোভাব রয়েছে।