এক লাখ জমায়েতের টার্গেট নেওয়া বিজেপির সেই সমাবেশ বাতিল

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলে বিজেপি। এর মধ্যেই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে ৯ আগস্ট পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ছিল দলটির। বলা হয়েছিল, এ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান বক্তা থাকবেন রাজ্যের বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এতে লাখো মানুষের জমায়েত হতে পারে। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে সেই সমাবেশ বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে বিজেপি।

দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিদ্যমান কোভিড বিধির কথা মাথায় রেখেই কর্মসূচি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার বিজেপি-র তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুণ নায়েক এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘যেদিন করোনার তথাকথিত লকডাউন উঠে যাবে, তার তিন থেকে চার দিনের মধ্যে আমরা এই কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করবো। আপাতত এটি স্থগিত করা হলো।’

বিবৃতির শুরুতেই বিজেপি-র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইচ্ছা করে বিক্ষোভ, আন্দোলন দমিয়ে রাখতেই বারবার বিধিনিষেধের সময়সীমা বৃদ্ধি করছে রাজ্য সরকার। বিধিনিষেধের মধ্যেই শাসক দল পুলিশ পাহারায় রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। কিন্তু বিজেপি কোনও কর্মসূচি আয়োজন করলেই নেতাকর্মীদের বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গত ১৫ জুলাই তমলুকের নিমতৌড়িতে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। যেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির হয়ে শুভেন্দু অধিকারী পুলিশ সুপার অমরনাথ সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছিলেন তা নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হয়।

শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকেছে। সেই সঙ্গে বিজেপি-র নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে লাগাতার মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এসব বন্ধ না হলে পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনে জম্মু-কাশ্মিরে বদলি করে দেওয়া হতে পারে।’ শুভেন্দুর এমন বক্তব্যে তখন পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় উঠে। সূত্র: আনন্দবাজার।