ত্রিপুরায় সরকার গড়বে তৃণমূল, রাজা প্রদ্যুৎ মাণিক্য’র জরিপ

উত্তর-পূর্বের বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্য ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটের দেরি থাকলেও ক্ষমতা ধরে রাখা আর ক্ষমতা দখলে মরিয়া প্রচেষ্ঠা শুরু করেছে বিজেপি ও তৃণমূল। অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানেই ত্রিপুরার প্রধান বিরোধী দল সিপিএমকে সরিয়ে সামনে এগিয়ে আসছে তৃণমূল। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপি বিরোধিতায় সরব হয়ে রাস্তায় নামছে তৃণমূল। যার ফলে সরগরম ত্রিপুরার রাজনীতি। এরই মধ্যে ত্রিপুরা রাজা  ও জনজাতির নিয়ে গঠিত দল ত্রিপরার প্রধান প্রদ্যুৎ বিক্রম মাণিক্য দেববর্মার একটি জনসমীক্ষা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই জনসমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এই মুহুর্তে ত্রিপুরায় জনপ্রিয় দল হিসেবে এগিয়ে তৃণমূল, পিছনে রয়েছে বিজেপি। আর এই সমীক্ষায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিপিএম।

২৯ আগস্ট নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে এই সমীক্ষাটি করেছেন ত্রিপুরার রাজা। তিনি বিভিন্ন দলের আইটি সেলকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করেছেন, ‘ত্রিপুরায় মুখোমুখী লড়াইয়ে কারা জিতবে?’

জবাবের বিকল্প হিসেবে তিনি তিনটি দলের নাম লিখেছেন বিজেপি, তৃণমূল ও সিপিএম। কিন্তু সম্প্রতি ত্রিপুরার জনজাতি এলাকার স্থানীয় নির্বাচনে বিজেপিকে হারানো তার নিজের রাজনৈতিক দল ত্রিপরার নাম রাখেননি।

রাজার এই অনলাইন জরিপে ভোট পড়ছে ২০ হাজার ১১৬টি। যার মধ্যে ৫৫ শতাংশ ভোটই তৃণমূল পক্ষে পড়েছে। আর বিজেপির পক্ষে ৩৫ দশমিক ৪ শতাংশ। আর একই সময় দীর্ঘদিন ত্রিপুরা শাসন করা সিপিএমে পক্ষে মাত্র ৯ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

২০২৪ সালে লোকসভা ভোট আর দেড়বছর পর ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটকে এখন পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেরুয়া দলে ফাটল ধরানোর চেষ্টায় রয়েছে তৃণমূল। এমনটাই সূত্রের খবর।

ইতোমধ্যে একদা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সুদীপ রায়বর্মন মন্ত্রীত্ব হারিয়ে বেসুরো গাওয়া শুরু করেছেন বেশ কিছুদিন ধরেই। অপরদিকে, ত্রিপুরার রাজা প্রদ্যুৎ বিক্রম মাণিক্য দেববর্মা ত্রিপরার নামে নতুন দল খুলে জনজাতি এলাকার স্থানীয় নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছেন। জনজাতি এলাকার স্থানীয় নির্বাচনে ২৮টির মধ্যে ১৪টি আসন পেয়েছে রাজা মাণিক্যর দল। ১১টি পেয়েছে বিজেপি। এমতাবস্থায় বিজেপিকে ত্রিপুরায় বেকায়দায় ফেলতে তৃণমূলের টার্গেটের রয়েছেন এই দু’জনেই। এরই মধ্যে রাজা মাণিক্য দেববর্মার এধরণের সমীক্ষাকে সামনে আনাকে যথেষ্ট তাপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।