গিলানির মৃত্যুতে কাশ্মিরজুড়ে লকডাউন, মোড়ে মোড়ে তল্লাশি

ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের প্রভাবশালী নেতা সৈয়দ আলী শাহ গিলানির মৃত্যুতে উপত্যকায় জনসাধারণে চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার কাশ্মিরের যোগাযোগে স্থবিরতা নেমে আসে। নিরাপত্তার অজুহাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। 

বুধবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে শ্রীনগরের হায়দারপোরার নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তাকে কাশ্মিরের শহীদ কবরস্থনে দাফন করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন তার ছেলে নাসিম গিলানি। প্রশাসন নির্দিষ্ট জায়গায় কবর দেয় গিলানিকে।

নাসিম গিলানি বলেন, ‘পুলিশ বাবার লাশ জোর করে ছিনিয়ে নেয়। এ নিয়ে আমাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। তাদের ইচ্ছে মতো স্থানে দাফন করেছে। আমাদের পরিবারের কোনও সদস্যকে থাকতে দেয়নি’।

কাশ্মির প্রশাসন জানিয়েছে, গিলানির মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ হওয়ার আশঙ্কায় দাফন করা হয়। দ্য প্রেস ট্রাস্ট ইন্ডিায় বলছে, ভারতবিরোধী বিক্ষোভের আশঙ্কা ছিল। এদিন শ্রীনগরের অধিকাংশ জায়গায় তল্লাশি চালাতে দেখা যায় নিরাপত্তা সদস্যদের। পরিস্থিতি অনেকেটাই থমথমে।

নিজের সমর্থকদের কাছে গিলানি ছিলেন কাশ্মিরের প্রধান স্বাধীনতাকামী নেতা। তার দিল্লির বিবেচনায় তিনি ছিলেন একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতিক। এ অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। বুধবার তার মৃত্যুর পরপরই বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।