ভবানীপুরে মমতার জেতার বিষয়ে আশাবাদী তৃণমূল

ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। গোটা দেশেরই নজর এই কেন্দ্রের উপর। ভবানীপুর ছাড়াও সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা আসনে নির্বাচন আজ। তবে সবার নজরই ভবানীপুর উপ নির্বাচনের দিকে। ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। নন্দীগ্রামে হেরে এটা তার দ্বিতীয় পরীক্ষা। তৃণমূল সুপ্রিমোকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে লড়ছেন বাম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস।

ভোটের পর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন, ‘বিজেপি ভেবেছিল ভবানীপুরে নন্দীগ্রামের ঘটনা ঘটাবে। ভবানীপুরে বিজেপির হারের পর ফুল পাঠাবো। সেখানকার প্রতিটি বুথে প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের অস্তিত্ব নেই। ভবানীপুর নির্বাচনে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট হয়েছে, খুব ভালো ভোট হয়েছে। এখানে কারসাজি করতে চেয়েছিল বিজেপি। মমতা মানুষের হৃদয় আছেন। নির্বাচন কমিশনকে বিরক্ত করেছে বিজেপি প্রার্থী। ভবানীপুরে কোথাও রিগিং হয়নি। তৃণমূলের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী কাজ করে না’।

এদিকে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মী রন্ধির সিংকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপর ভবানীপুর থানার পুলিশ রন্ধিরকেই আটক করে নিয়ে আসে। আটক দলীয় কর্মীকে ছাড়াতে থানায় পৌঁছে যান প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।

ভবানীপুরের উপনির্বাচনেও অশান্তির বাতাবরণ দেখা গেল। ‘হামলা’ চালানো হল বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবের গাড়িতে। কে বা কারা এই হামলা করেছে তার কোনও সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি। তবে অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। আর তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে কল্যাণের দাবি, বিজেপি ভুয়ো ভোটার ধরে ফেলার জেরেই এই ভাঙচুর চালানো হয়।

বিজেপি সূত্রে খবর, এই কেন্দ্রের ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎ বোস রোডে গাড়িতে হামলা হয়। গাড়ি আটকে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এমনকী কল্যাণকেও নিগৃহ করা হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানানো হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতারা। ভবানীপুর বিধানসভার বিজেপি পর্যবেক্ষক অর্জুন সিং বলেন, ‘‌নির্বাচন কমিশন সদর্থক ভূমিকা নেয়নি। যদিও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।’‌

বিকেল পাঁচটা অবধি ভবানীপুরে ৫৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। অন্যদিকে সামশেরগঞ্জে ৭৮ ও জঙ্গিপুরে ৭৬ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়েছে।