যুদ্ধবিমান কিনতে ঘুষ, নতুন বিতর্কে মোদি

ফ্রান্সের কাছ থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান কিনেছে ভারত। যা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে লাগাতার বিতর্ক চলছে। এর আগে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, অনেক বেশি দামে রাফাল কিনেছে ভারত। শুধু তা-ই নয়, রাফাল তৈরির দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল। মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এবার ফের রাফাল নিয়ে নতুন বিতর্ক সামনে এলো।

অভিযোগ, ভারত সরকারের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে বিপুল পরিমাণ ঘুষ বা কাটমানি দেওয়া হয়েছিল এই কেনাবেচার জন্য। ফ্রান্সের একটি সংবাদমাধ্যম নতুন এই অভিযোগ সামনে এনেছে। বিরোধী দল কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে সরব হলেও এখনও পর্যন্ত ভারত সরকার বা দলীয়ভাবে বিজেপির তরফে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম মিডিয়াপার্ট সম্প্রতি তথ্যপ্রমাণ দিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের সংস্থার কাছ থেকে রাফাল কেনার সময় এক ভারতীয় দালালের মাধ্যমে ভারত সরকার চুক্তি করেছিল। মধ্যস্থতাকারী ওই ব্যক্তির নাম সুষেণ গুপ্ত। মধ্যস্থতা করার জন্য ভারত সরকার তাকে ৭৫ লাখ ইউরো দিয়েছিল। যা ঘুষ বা কাটমানি হিসেবেই ধরতে হবে। যে পদ্ধতিতে ওই টাকা দেওয়া হয়েছে, তা-ও বেআইনি বলে অভিযোগ।

রিপোর্টের দাবি, সুষেণ এর আগেও অগুস্তার কাছ থেকে হেলিকপ্টার কেনার সময় একইভাবে কাটমানি নিয়েছিল। সে সময় মরিশাসে একটি শেল কোম্পানি তৈরি করে তার মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন হয়েছিল।

রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ওই শেল কোম্পানি নকল ইনভয়েস, চালান পর্যন্ত তৈরি করেছিল। যেখানে তারা অন্য কারণে ভারত সরকারের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে বলে দেখানো হয়েছিল।

অগুস্তা নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এক সময় অগুস্তার মূল কোম্পানি ফিনোমেকানিকাকে ভারতে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়। কংগ্রেসের বক্তব্য, বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে কোম্পানিটির সমস্ত কালো ধুয়ে গেছে। এবার নতুন করে সেই বিতর্ক শুরু করেছে কংগ্রেস।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, 'এর আগে অগুস্তা ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত, বিজেপির লন্ড্রিতে কেচে তার সব ময়লা উঠে গেছে!' অন্যদিকে, কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার বক্তব্য, 'বিজেপির সঙ্গে অগুস্তা ও ফিনোমেকানিকার কী বোঝাপড়া হয়েছে, সেটা প্রকাশ্যে আনতে হবে।' সূত্র: ডিডাব্লিউ।