২৯ শাবকের জন্ম দেওয়া বাঘিনীর মৃত্যু

ভারতের মধ্য প্রদেশের পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের বহুল পরিচিত বাঘিনী ‘কলারওয়ালি’ শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে মারা গেছে। ১৭ বছরের জীবনকালে এই বাঘিনী ২৯টি শাবকের জন্ম দিয়ে ‘সুপারমাম’ হিসেবে খ্যাতি পায়।

টি-১৫ নামেও পরিচিত ছিল বাঘিনীটি। ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে আটবার গর্ভধারণ করে ২৯টি শাবকের জন্ম দেয় এটি।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ১৪ জানুয়ারি বাঘিনীটিকে শেষবার দেখতে পায় রিজার্ভের দর্শনার্থীরা। ছবিতে দেখা গেছে বাঘিনীটির শেষকৃত্যে সমবেত হয়েছেন বেশ কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা। অনেকের হাতেই মালা আবার অনেকেই জোড় হাতে বাঘিনীটির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।

মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও ‘সুপার বাঘিনী মা’ এর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। আরও অনেকেই টুইটারে তাদের প্রিয় ‘কলারওয়ালি’র প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

ভারতের আইএফএস কর্মকর্তা প্রবিন কাশোয়ান টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘ডাকা হতো মাদার অব পেঞ্চ নামে। শুধু কল্পনা করুন তার রক্তের ধারাবাহিকতা কিভাবে ভারতের বাঘ জনগোষ্ঠী বাড়াতে সাহায্য করেছে।’

পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা ১৫ মিনিটে বাঘিনীটি কর্মাঝিরি রেঞ্জে এলাকায় মারা যায়। গত এক সপ্তাহ ধরে বাঘিনীটির শারিরীক অবস্থার প্রতি নজর রাখছিলেন বনবিভাগের কর্মীরা। বয়সের কারণে বাঘিনীটির মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

বিশেষজ্ঞদের মতে একটি বাঘের স্বাভাবিক জীবনকাল ১২ বছর। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসরণ করে বাঘিনীটিকে সমাহিত করা হয়েছে আর তার নমুনা পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।

২০০৮ সালের মার্চে বাঘিনীটিকে রেডিও কলার পরানো হয়। সেটি অকার্যকর হয়ে পড়লে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ফের আরেকটি পরানো হয়। এরপরই তার নাম হয়ে ওঠে কলারওয়ালি।

ভারতের মধ্য প্রদেশে ৫২৬টি বাঘ রয়েছে। ২০১৮ সালে রাজ্যটিকে ‘বাঘ রাজ্য’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।