তৃণমূলের প্রচারের থিম সং নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে অখিলেশ

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপির বিরুদ্ধে বিখ্যাত প্রচারের গান ‘খেলা হবে’কে নিজেদের মতো করে আপন করে নিলো অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট। বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য উত্তর প্রদেশে এখন বাজছে ভোটের গান ‘খাদেড়া হোইবে’ বা তাড়াতে হবে। রাজ্যটির পূর্বাঞ্চলে প্রচলিত স্থানীয় উপভাষার ওপর ভিত্তি করে সম্প্রতি তৈরি হওয়া গানটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে জোরে জোরে বাজানো হচ্ছে এই গান।

“উত্তর প্রদেশের মানুষরাই বলছে, বিজেপিকে ‘খাদেড়া হোইবে’ মানে তাড়ানো হবে। কিছু জায়গায় সত্যিই বিজেপির সমর্থকদের তাড়া করাও হচ্ছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে এই স্লোগান একত্রিত করছে,” বলেন সমাজবাদী পার্টির আশুতোষ সিনহা।

উত্তর প্রদেশের লড়াইয়ে সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থন করেছেন মমতা। ‘খেলা হবে’ গানের গীতিকার ও গায়ক দেবাংশু ভট্টাচার্য জানান, দুই জায়গার রাজনৈতিক অবস্থা ও লড়াই ভিন্ন ধরনের। বলেন, ‘এক জায়গায়, শাসক দলকে ফিরিয়ে আনার জন্যই গানটা ছিল, অন্য জায়গায় (উত্তর প্রদেশ) এটি শাসক দলকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানের কোনও পাল্টা স্লোগান নেই, যা তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। যদি কেউ ওদের থামানোর চেষ্টা করে, তবে বিজেপি এটাই সামনে আনবে যে ঈশ্বরের নাম নিয়ে অন্যদের সমস্যা আছে এবং এসব করে ভোটের মেরুকরণে বিজেপির লাভ হবে। ‘খেলা হবে’ গানটা তৈরি করার পরে, বিজেপি কর্মীরা যদি ‘জয় শ্রী রাম’ উচ্চারণ করত, তৃণমূল কর্মীরা বলত ‘খেলা হবে’ এবং জনসাধারণ খেলা হবেতেই বেশি ভরসা রেখেছে। খাদেড়া হোইবে’ জিঙ্গেলটি বিজেপির ‘ধর্মীয় মেরুকরণ কৌশলকে ঠেকাতে শক্তিশালী অস্ত্র হবে।’

উত্তর প্রদেশের তৃণমূল নেতা ললিতেশপতি ত্রিপাঠী বলেছেন, ‘নির্বাচনে একটা নির্দিষ্ট থিম দরকার। যদি গানের মাধ্যমে সেটা পাওয়া যায় তবে খুবই ভালো। যদি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে পরাজিত করা সম্ভব হয়, তবে আমি মনে করি যে জনগণ এখানেও একই কাজ করতে পারে। এই বার্তাটি জনগণ এবং দলীয় কর্মীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গানটি ভীষণ কার্যকর হবে।’

সমাজবাদী পার্টির সাড়ে তিন মিনিটের ‘খাদেড়া হোইবে’ জিঙ্গলটিতে মুদ্রাস্ফীতি, কোভিড মহামারিতে অব্যবস্থাপনা, বেকারত্বের মতো বিষয়গুলো তুলে ধরেছে।