পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিধায়কদের হাতাহাতি

রামপুরহাটের বগটুই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সোমবার উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। দিনের শুরুতেই বিক্ষোভ করেন বিজেপি বিধায়করা। বগটুইতে নিরীহ মানুষ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ করেন বিজেপি বিধায়করা। স্পিকার তাদের থামানোর চেষ্টা করলে তাতে পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলে অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে যান বিজেপি বিধায়করা।

সোমবার বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন ছিল। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। তার অভিযোগ, ‘আপনারা গত কয়েকদিন ধরে অধিবেশনের কাজে সমস্যা তৈরি করেছেন। স্লোগান দিয়েছেন, চিৎকার করেছেন, ওয়াক আউট করেছেন। পুলিশ বাজেটেও আপনারা উপস্থিত থাকেননি’। এই বক্তব্যের পর ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। 

বগটুই কাণ্ডে সিট গঠন ও মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললে বিজেপি বিধায়করা বাইরে এসে বিক্ষোভ করেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও দলনেতা মনোজ টিগ্গাকে সামনের সারিতে দেখা যায়। 

এরপরই তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। মাটিতে ফেলে মারধরের অভিযোগ এসেছে। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফেটে যায়। মনোজ টিগ্গার জামা ছিঁড়ে যায়। এরপরই শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, নরহরি মাহাত, দীপক বর্মন ও শংকর ঘোষ- পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ডের প্রস্তাব আনে তৃণমূল। প্রস্তাবে সায় দিয়ে স্পিকার ৫ বিধায়ককে আগামী বাজেট অধিবেশন পর্যন্ত সাসপেন্ড করেছেন।

প্রতিবাদে টুইট করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। ইতিমধ্যে ফিরহাদ হাকিম পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে। তিনি সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে ফোনে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে, অধিবেশনের শেষদিন নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হলো রাজ্য বিধানসভা।