সৌরভ গাঙ্গুলি নন, রাজ্যসভা সদস্য হচ্ছেন ডোনা

সৌরভ গাঙ্গুলি বা গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে যোগদানের জল্পনা নতুন কিছু নয়। ফের তা শুরু হয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সৌরভের বাড়িতে নৈশভোজে যাওয়ার পর থেকেই। তবে এখন আবার শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা। ভারতের রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য হিসেবে হয় সৌরভ, নয় তার স্ত্রী ডোনা খুব শিগগিরই রাজ্যসভার সদস্য হতে চলেছেন। যদিও এই বিষয়ে সৌরভ বা ডোনা কেউই সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেননি। তবে পশ্চিমবঙ্গ রাজনীতিতে এই জল্পনা এখন বেশ ডানা মেলে দিয়েছে।

বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, রূপা গাঙ্গুলির ছেড়ে যাওয়া আসনেই ডোনাকে রাজ্যসভায় পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য হিসেবে। খুব শিগগিরই রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি মনোনীত কয়েকজন সাংসদের শূন্যপদ পূরণ করা হবে। ওই শূন্যপদে যে কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ডোনার নাম ঘোরাফেরা করছে গেরুয়া শিবিরে।

রাজ্যসভায় ১২ জন সদস্য রাষ্ট্রপতি দ্বারা মনোনীত হতে পারেন। যারা মনোনীত হন তারা সাহিত্য, বিজ্ঞান, শিল্প ও সমাজসেবার ক্ষেত্র থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন। ক্রিকেটে দেশের অধিনায়কত্ব করা সৌরভের মতোই ওড়িশি নৃত্যশিল্পী হিসাবে ডোনারও পরিচিতি রয়েছে। তাই দুইজনের যে কোনও একজন এই সম্মান পেতেই পারেন। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাষ্ট্রপতির মনোনীত সাংসদ হিসেবে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, সাংবাদিক স্বপন দাশগুপ্তরা সংসদে গিয়েছেন। এবার কী হয় সেই দিকেই সকলে তাকিয়ে থাকবেন।  

ভারতের সংবিধানের ৮০ নম্বর ধারা মেনে রাষ্ট্রপতিকে এই মনোনীত সাংসদদের নাম সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ কেন্দ্র সরকারই কার্যত ঠিক করে দেয় যে কারা কারা রাজ্যসভায় সদস্য হবেন রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদ হিসেবে। যেহেতু অমিত শাহ নিজেই সৌরভের বাড়িতে গিয়েছিলেন নৈশভোজে তাই সম্ভাবনা থাকছেই বিজেপির তরফ থেকে সৌরভ বা ডোনা কাউকে রাজ্যসভায় পাঠানো। যদিও গতকাল সৌরভ রাজনীতিতে আসা নিয়ে কোনও কথা বলেননি। কিন্তু বলেছেন ডোনা। জানিয়েছেন, ‘জল্পনা করাই তো মানুষের কাজ। যদি সত্যি কিছু হয় তাহলে তো মানুষ জানতেই পারবেন। তবে এটুকু বলতে পারি, সৌরভ রাজনীতিতে এলে মানুষের জন্য ভালো কাজই করবে।’

অন্যদিকে সৌরভ ডোনাকে নিয়ে জানিয়েছেন, ‘রাজনীতিতে আসা নিয়ে ডোনার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ তার নিজের। তবে রাজনীতিতে এলে ও ভালোই করবে।’

স্বাভাবিকভাবেই এখন গঙ্গোপাধ্যায় দম্পতিকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে বেশ জল্পনা ডানা মেলেছে।