ভারতের ৯ রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘু ঘোষণার দাবি

হিন্দু অধ্যুষিত ভারতে ৯টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে হিন্দুদের সংখ্যালঘু ঘোষণা করতে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন দিল্লির বিজেপি নেতা ও আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। আবেদনে তিনি দাবি করেছেন, সংখ্যার নিরিখের এই ৯টি রাজ্য ও অঞ্চলে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। 

এই মামলায় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল, হিন্দুদের ‘সংখ্যালঘু’ মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এবার নতুন এক হলফনামায় ভারত সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্য এবং এই মামলার সঙ্গে যুক্ত পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে হিন্দুদের ‘সংখ্যালঘু’ তকমা দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে।

নতুন হলফনামার আগে এই মামলায় ভারত সরকারের অবস্থান ছিল, রাজ্যই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে এবার খানিকটা অবস্থান পাল্টে রাজ্যগুলোর সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনার টেবিলে বসার কথা বললো কেন্দ্রীয় সরকার। 

ভারতে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, ভারত সরকার খ্রিষ্টান, শিখ, মুসলিম, বৌদ্ধ, পার্সি এবং জৈন নামে ছয়টি সম্প্রদায়কে জাতীয় স্তরে সংখ্যালঘু হিসেবে অবহিত করেছে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলো হিন্দুদের একটি ধর্মীয় বা ভাষাগত সংখ্যালঘু হিসেবে অবহিত করতে পারে যদি সেখানে হিন্দুরা সংখ্যায় কম থাকে। উদাহরণ হিসেবে কেন্দ্র জানায়, ২০১৬ সালে মহারাষ্ট্র সরকার ইহুদিদের সংখ্যালঘু মর্যাদা দিয়েছিল। কর্ণাটক সরকার উর্দু, তেলেগু, তামিল, মালায়লাম, মারাঠি, টুলু, লামানি, হিন্দি, কোঙ্কনি ও গুজরাটিকে সংখ্যালঘু ভাষার তকমা দিয়েছিল।

এর আগে প্রতিটি রাজ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শ্রেণি বিভক্ত করার জন্য একটি পিটিশন জমা দিয়েছিলেন দিল্লির বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। তিনি ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটি এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশনস (এনসিএমইআই) অ্যাক্ট ২০০৪-এর ধারা ২(এফ)-এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।

এই ধারা অনুযায়ী ভারতে পাঁচটি ধর্মীয় সম্প্রদায়- মুসলিম, খ্রিষ্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সি সংখ্যালঘু তকমা পায়। যদিও তার আবেদন অনুসারে, দেশের ৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হিন্দুরা সংখ্যালঘু।

অশ্বিনী কুমার আবেদন করেছেন, পাঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মির, লাদাখ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ ও লাক্ষাদ্বীপের হিন্দুদের সংখ্যালঘু হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। এসব রাজ্য ও অঞ্চলে হিন্দুদের সংখ্যা কম হওয়ার কারণে তিনি এই দাবি জানিয়েছেন।