পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলর হবেন মুখ্যমন্ত্রী!

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নয়, রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলর পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসাতে চেয়ে আনা প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। শিগগিরই এই নিয়ে বিধানসভায় সংশোধনী বিল আনতে চলেছে মমতা সরকার। বিধানসভায় এই সংক্রান্ত বিল পাস হলেই রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতাসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আভ্যন্তরীণ শিক্ষাগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকবে। মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন। আবুটা, সারা বাংলা সেভ এডুকেশন কমিটির পাশাপাশি বাম ছাত্র সংগঠন ডিএসও-ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। আবার শিক্ষাবিদদের একাংশের মত, মুখ্যমন্ত্রী চ্যান্সেলর হলে আখেরে ভালোই হবে।

অল বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন বা আবুটা লিখিত বিবৃতি দিয়ে নিজেদের বিরোধিতার কথা জানিয়েছে। তারা মনে করে, শিক্ষার উৎকর্ষের অনিবার্য শর্ত হলো শিক্ষার স্বাধিকার। যেখানে শিক্ষা সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে সরকারি বা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকবে না। উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা রাজ্যপালের হাত থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বা রাজ্য সরকারের হাতে গেলে, সরকারি বা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা আদৌ কমে না। শিক্ষার স্বার্থে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকার শিক্ষা পরিচালনায় তাদের সরকারি ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকুক। মুখ্যমন্ত্রী নন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হোন স্বীকৃত কোনও শিক্ষাবিদ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিধানসভায় এই বিল পাস করে শিক্ষা পরিচালনায় সরকারি ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিরঙ্কুশ করার চেষ্টা হলে আবুটা সব সংগঠনসহ জনগণকে যুক্ত করে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।