সুন্দরবনের নদী সাঁতরে পশ্চিমবঙ্গে আসা বাংলাদেশি তরুণী পুলিশ হেফাজতে

প্রেমের টানে বাংলাদেশ থেকে সুন্দরবনের নদী সাঁতরে পশ্চিমবঙ্গে প্রেমিকের কাছে পালিয়ে আসা কৃষ্ণা মণ্ডলকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কৃষ্ণা মণ্ডল ও কলকাতার নিকটবর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নরেন্দ্রপুরের রেনিয়া এলাকার অভীক মণ্ডলের। দীর্ঘ কয়েক মাস মোবাইল ফোনে দুজনের মধ্যে কথাবার্তা, প্রেমালাপ। ভিডিও কলেও দেখাশোনা হয়েছে পরস্পরের। আর তাতেই বেড়েছে প্রেমের টান। ওই যুবক তাকে বিয়ে করবে প্রতিশ্রুতি দেয়। আর তাই নিজের মনের মানুষকে বিয়ে করতে বাংলাদেশ থেকে রাতের অন্ধকারে নদী জঙ্গল পেরিয়ে পালিয়ে ভারতে আসে তরুণী।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনের নদী সাঁতরে পশ্চিমবঙ্গে প্রেমিকের কাছে বাংলাদেশি তরুণী!

সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের ভয় আর কুমিরকে উপেক্ষা করে নদী পেরিয়ে তারপর কলকাতার কালীঘাটের কালিমন্দিরে এসে বিয়ে করে। মাসখানেক ধরে অভীকের সঙ্গে সংসার করছিলেন তিনি। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ রেনিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে সোমবার রাতে। তবে এ বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন তার স্বামী অভীক মণ্ডল। বৈধ কাগজপত্র ও পাসপোর্ট না থাকায় পুলিশের জালে ধরা পড়ে অনুপ্রবেশকারী এই তরুণী।

নরেন্দ্রপুর থানায় কৃষ্ণা জানিয়েছে, মূলত বাংলাদেশের শ্যামনগর থেকে কালিন্দী নদী পেরিয়ে চলে আসেন তিনি। আসার সময় তাকে বিএসএফ এর হাতে ধরা পড়ার আশঙ্কা থাকলেও রাতের বেলা ওই এলাকা ফাঁকা ছিল বুঝেই পালিয়ে আসে। সুন্দরবনের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে এসে তারপর নদী পেরিয়ে যায়। এরপর পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন সংলগ্ন উত্তর ২৪ পরগনার জেলার হিঙ্গলগঞ্জে আসার পর অভিক তাকে নিতে আসে।

কৃষ্ণার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করায় ১৮ ফরের্নাস অ্যাক্টে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত কৃষ্ণাকে মঙ্গলবার বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয় সে সত্যিই সুন্দরবনের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করে নদী পেরিয়ে এসেছে না বেআইনিভাবে তাকে কেউ অনুপ্রবেশ করতে সাহায্য করেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।