ভারতের হোটেল ও রেস্টুরেন্টে সার্ভিস চার্জ নিষিদ্ধ

হোটেল ও রেস্টুরেন্টের বিলের সঙ্গে সার্ভিস চার্জ যুক্ত করা নিষিদ্ধ করেছে ভারতের ভোক্তা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ। ভোক্তাদের এই চার্জ দিতে বাধ্য করা নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রেস্টুরেন্টগুলো প্রায়ই সার্ভিস চার্জ ক্যাটাগরিতে ভোক্তাদের বিলে ৫ থেকে ১৫ শতাংশ বখশিশ যুক্ত করে থাকে। তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী রেস্টুরেন্টগুলো এখন থেকে আর বিলের সঙ্গে ‘পূর্বনির্ধারিত কিংবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্ভিস চার্জ যোগ’ করতে পারবে না। এছাড়া নতুন নিয়মে আরও রয়েছে ‘অন্য কোনও নামেও’ ভোক্তাদের কাছ থেকে বখশিশ আদায় করতে পারবে না রেস্টুরেন্ট এছাড়া কেউ বখশিশ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে সেবা দেওয়া বন্ধ কিংবা প্রবেশ করতে দিতে অস্বীকৃতিও জানানো যাবে না।

রেস্টুরেন্টগুলোতে বখশিশ নিয়ে ভারতে গত কয়েক বছর ধরে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।  ভোক্তাদের অভিযোগ এই অতিরিক্ত চার্জ সম্পর্কে তাদের অবহিত করা হয়নি।

২০১৭ সালে ভারত সরকারের ভোক্তা বিষয়ক দফতর এই সংক্রান্ত কিছু গাইডলাইন জারি করে। এতে বলা হয়, ভোক্তাদের কেবল মেনু কার্ডে প্রদর্শিত বিলের সঙ্গে সরকারি কর পরিশোধ করতে হবে। দফতরটি জানায় বখশিশ দেবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মানুষ তাদের ‘বিচক্ষণতা’ ব্যবহার করতে পারে এবং ভোক্তার সম্মতি ছাড়া অতিরিক্ত চার্জ ‘অন্যায় বাণিজ্য চর্চা’ হিসাবে গণ্য করা হবে।

এর বদলে সরকার রেস্টুরেন্টগুলোকে কর্মীদের ন্যায্য মজুরি দিতে এবং খরচ মেটাতে পণ্যের দাম বাড়াতে উৎসাহিত করে। তবে রেস্টুরেন্টগুলো এরপরও বিলের সঙ্গে বখশিশ যোগ করতে থাকে।

গত মাসে সরকার ন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (এনআরএআই) সঙ্গে বৈঠকে বসে। বলা হয় ভোক্তাদের কাছ থেকে বখশিশ সংক্রান্ত অতিরিক্ত পরিমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

তবে প্রায় পাঁচ লাখ রেস্টুরেন্টের প্রতিনিধিত্ব করা এনআরএআই এই চর্চার পক্ষ নেয়। তাদের দাবি এটি একটি ‘ব্যক্তিগত নীতির বিষয়’ এবং এই জাতীয় চার্জ নেওয়া ‘অবৈধ’ নয়। তারা আরও যুক্তি দেয় সার্ভিস চার্জের কারণে সরকারও অতিরিক্ত রাজস্ব পাচ্ছে কারণ রেস্টুরেন্টগুলো ভোক্তাদের কাছ থেকে যা চার্জ করে তার উপর কর দেয়।

নতুন গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ভোক্তারা তাদের অভিযোগ অনলাইনে কিংবা ন্যাশনাল কনজিউমার হেল্পলাইনের মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন।

সূত্র: বিবিসি