মমতা সরকারের ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মাননা নেবেন না অমর্ত্য সেন

মমতা সরকারেরর দেওয়া ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মাননা নেবেন না নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন। অমর্ত্যের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গেছে, রাজ্য সরকারের পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব সসম্মানে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি বিদেশে রয়েছেন। তাই সোমবারের সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। এই মুহূর্তে দেশে ফেরার কোনও পরিকল্পনা অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নেই বলেও জানা গেছে তার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে।

জানা গেছে, অমর্ত্য সেন চান নতুন কেউ এই পুরস্কার পান। কিন্তু কেন তিনি ‘বঙ্গবিভূষণ’ পুরস্কার নেবেন না, সে ব্যাপারে অবশ্য তার পরিবারের তরফে কিছু জানানো হয়নি।

অমর্ত্য সেন ছাড়াও অপর এক নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ‘বঙ্গবিভূষণ’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তিনি অবশ্য পুরস্কার নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি। ‘বঙ্গবিভূষণ’-এর তালিকায় এ বছরের নতুন চমক কলকাতা ময়দানের তিন প্রধান। ক্রীড়ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধারায় অবদানের জন্য মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডানকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি তিন ক্লাবের কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘বঙ্গবিভূষণ’-এর পাশাপাশি ২৫ জুলাই ‘বঙ্গভূষণ’ পুরস্কার দেওয়া হবে সংস্কৃতি জগতের বিভিন্ন শিল্পীদেরও। তাদের মধ্যে রয়েছেন- তবলা বাদক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, শরদ বাদক দেবজ্যতি বোস, গায়িকা কৌশিকী চক্রবর্তী ও শ্রেয়া ঘোষাল, গায়ক অরিজিৎ সিং এবং অভিনেতা দেব।

উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের দেওয়া ‘বঙ্গবিভূষণ’ পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের জন্য চিঠি লিখে বিশিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। দুই নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন এবং অভিজিৎ বিনায়র বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও বেশ কয়েকজন প্রথিতযশার কাছেও চিঠি লিখে এই আবেদন করেছিলেন সুজন। পুরস্কার বয়কটের ব্যাপারে তার বক্তব্য ছিল, ‘দুর্নীতিতে কলুষিত এই রাজ্য সরকার। তাই তাদের দেওয়ার সম্মান বয়কট করুন।’