তৃণমূলের অভিষেককে ইডি’র ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ

প্রায় সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির অফিস থেকে বের হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার কিছু পরে ইডি দফতরে যান তিনি। আর যখন বের হন তখন প্রায় সাড়ে পাঁচটা পার হয়ে গেছে। কলকাতায় ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গতকাল আমার কাছে কুরিয়ার মারফত তলবের চিঠি এসে পৌঁছেছে। তৃতীয়বারের মতো ইডির অফিসে এসেছি। আমার কথা মতোই তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করেছি।

অভিষেক বলেন, ‘আমি তো দুই বছর আগে বলেছি, আমার সঙ্গে বিন্দুমাত্র কোনও যোগসাজস বা যোগসূত্র যদি এই কেলেঙ্কারিতে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, যদি প্রমাণ হয় পাঁচ পয়সাও এখান থেকে আমি নিয়েছি… তাহলে আমার পিছনে ইডি বা সিবিআই লাগানোর দরকার নেই। একটি ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করবেন। সেখানে গিয়ে মৃত্যুবরণ করব। আমি আমার বক্তব্য পাল্টাচ্ছি না।’

উল্লেখ্য, এর আগে দুবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ইডির অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। অভিষেককে যাতে কলকাতায় ইডির অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তা নিয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে জানানো হয়েছিল, কলকাতাতেই অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। আদালতের সেই নির্দেশমতো এদিন কলকাতায় ইডি অফিসে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ‘ আগের দুইবার দিল্লিতে যেতে হয়েছিল। কিন্তু এবার দিল্লি থেকে আদালতের নির্দেশে কলকাতায় আসতে হয়েছে তাদের। এটা প্রথম নৈতিক জয়।’

অভিষেক আরও বলেন, ‘তিনবার আমি তদন্তে নিজে অংশগ্রহণ করেছি। আমায় ডাকা হয়েছে। আমার স্ত্রীকে দুবার সিবিআই, একবার ইডি থেকে ডেকেছে। অর্থাৎ, ছয়বার আমাকে ও আমার স্ত্রীকে ডাকা হয়েছে। ৬০ ঘণ্টার ওপর জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে। নিট ফল শূন্য। আমি আজ লিখিত বয়ান দিয়েছি। প্রথমবার যখন গিয়েছিলাম, তখনও লিখিত বয়ান দিয়েছি। আমাকে যখন ডেকেছে, আমার সীমিত ক্ষমতা ও এখতিয়ার অনুযায়ী যতটা সাহায্য করা দরকার, আমি সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’

সুপ্রিম কোর্টের সেই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার কলকাতায় ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরই মধ্যে অভিষেক-ইডি মামলার এদিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে এবং ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না।