মহদীপুর দিয়ে ভারতে পণ্য রফতানি চান বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা

ভারতের মহদীপুর স্থলবন্দর দিয়ে রফতানি করতে চান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। দুই দেশে অনান্য স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত আমদানি রফতানি হলেও মালদহের মহদীপুর স্থলবন্দর দিয়ে শুধু ভারত থেকে পণ্য বাংলাদেশে যায়। মূলত এই স্থলবন্দর দিয়ে পাথর, ভুট্টা ও পেঁয়াজ, ফল বাংলাদেশ পাঠানো হয়। তবে ভারতে আমদানি হয় না এই স্থলবন্দর দিয়ে। কারণ মহদীপুর স্থলবন্দরের পরিকাঠামোর সমস্যা রয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্র এখনও তৈরি হয়নি। এছাড়া পণ্য আমদানির জন্য যে সব পরিকাঠামো প্রয়োজন সেগুলো নেই। দুই দেশের রফতানিকারকদের পক্ষ থেকে মহদীপুর স্থলবন্দরের পরিকাঠামোর উন্নতির দাবি তোলা হয়েছে।

মালদহে দুই দেশের আমদানি রফতানিকারক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক বৈঠকে এমনই দাবি উঠে আছে। এদিন মালদহ মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স এবং চাঁপাই নবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের যৌথ উদ্যোগে এক ব্যবসায়িক সভার আয়োজন করা হয় মালদহ শহরের বাণিজ্য ভবনে।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মহদীপুর স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এবং কীভাবে আরও বেশি করে বাণিজ্যিক প্রসার ঘটানো যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় ওই সভায়। এতে উপস্থিত ছিলেন, মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু সম্পাদক উত্তম বসাক, বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, মহদিপুর এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।

বর্তমানে মহদীপুর স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত গড়ে ৩০০ টি লরি বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে যায়। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের ইচ্ছে আরও বেশি পরিমাণে প্রতিদিন লরি পারাপার করানোর। এছাড়া বাংলাদেশের পানামা বন্দরে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা ছোট থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় ভারতীয় রফতানিকারকদের। লরি খালি করতে সমস্যা হওয়ায় ৭ থেকে ৮ দিন লরি আটকে থাকে বাংলাদেশে। ভারতীয় রফতানিকারকদের পক্ষ থেকে এই সমস্যার সমাধানের জন্য বাংলাদেশের আমদানিকারকদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়।  

ভারতবর্ষের অন্যান্য স্থলবন্দরগুলো দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পোশাক, মশারি, কাঠের আসবাবপত্রসহ বাংলাদেশের উৎপাদিত বিভিন্ন সামগ্রী আমদানি করা হয়। মহদীপুর স্থলবন্দর দিয়ে এই সব সামগ্রী ভারতে আমদানি হলে বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে।