জেএনইউ রাষ্ট্রদ্রোহী বিতর্ক

দিল্লি হাইকোর্টে ৬ মাসের জামিন পেলেন কানহাইয়া

রাষ্ট্রদ্রোহী অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমার জামিন পেয়েছেন। বুধবার দিল্লির হাইকোর্ট কানহাইয়ার ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, সোমবার জামিন আবেদনের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা বুধবার পর্যন্ত স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি প্রতিভা রানি। বুধবার দশ হাজার রুপি জামানতে আদালত কানহাইয়ার জামিন মঞ্জুর করেছেন। এছাড়া আদালত কানহাইয়াকে মামলার তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
জামিন আবেদনের শুনানিতে কানহাইয়ার আইনজীবী কপিল সিবাল আদালতে জানান, কানহাইয়া দেশবিরোধী স্লোগান দেননি। জেএনইউ ক্যাম্পাসের মধ্যে মুখ-ঢাকা কিছু ব্যক্তি দেশবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন।
সিবাল দাবি করেন, কানহাইয়া ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন না। ফলে তার বিরুদ্ধে মামলা টিকতে পারে না।

সহযোগী আইনজীবী রেবেকা জন-এর যুক্তি, কানহাইয়া মুখ-ঢাকা ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র দেখতে চাইছেন— ভিডিওতে সেই দৃশ্য দেখতে পাবে আদালত। কিন্তু কানহাইয়া দেশবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন— এমন অভিযোগ প্রমাণ করার মতো কোনও রেকর্ডিংয়ের নথি নেই।

দিল্লি পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা দাবি করেন, সাক্ষীদের বয়ান ও বিলি হওয়া প্রচারপত্রই বুঝিয়ে দিচ্ছে, কানহাইয়া ও অন্য কয়েকজন দেশবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন। আফজাল গুরুর নামে পোস্টারও হাতে নিয়েছিলেন তারা।

৯ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে আফজাল গুরুর সমর্থনে আয়োজিত বিতর্কিত কর্মসূচিতে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে ১২ ফেব্রুয়ারি কানহাইয়া কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে পুলিশি রিমান্ডে রাখা হয়। পরে আদালত তাকে ২ মার্চ পর্যন্ত কারাগারে পাঠান। এর মধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরদিন পুনরায় তাকে তিহার জেলে পাঠানো হয়।

পুলিশের দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়েছে, কানহাইয়া শুধু দেশবিরোধী স্লোগানই দেননি বরং ওই বিতর্কিত কর্মসূচির আয়োজকদেরও একজন ছিলেন। সূত্র: এনডিটিভি।

/এএ/