অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৪২০, মাওবাদী!

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে 'মাওবাদী' হিসেবে আখ্যায়িত করলেন ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন  বিজেপি নেতা সুব্রমনিয়ম স্বামী। বুধবার তিনি দাবি করেন, কেজরিওয়াল দেশবিরোধীদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন দিনের পর দিন। তিনি একজন নকশাল।

noname
কংগ্রেস ও কেজরিওয়ালের কঠোর সমালোচনা করে স্বামী বলেন, 'অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও কংগ্রেস- সবাই মিলে বিজেপির বিরোধিতা করছে। আর কেজরিওয়াল তো নকশাল। যখন যা ইচ্ছে বলে দেন। আমরা যদি পাকিস্তান ইস্যুতে কঠোর হই, তাহলে কেজরিওয়াল বলবেন, কেন এত কড়া নীতি নিচ্ছেন? আবার পাক ইস্যুতে নরম হলে, কেজরিওয়াল বলবেন, আমরা পাকিস্তানকে স্বাগত জানাচ্ছি। কেজরিওয়াল সম্পূর্ণ ৪২০ লোক। তাকে কী করে আমি সিরিয়াসলি নেব?'
সোমবার ভারতের আসার পর পাকিস্তানি দলের সঙ্গে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) দীর্ঘ বৈঠক হয়। পাঁচ সদস্যের এই যৌথ তদন্তকারী দলে (জেআইটি) রয়েছেন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ও সেনা গোয়েন্দার পদস্থ অফিসাররা। মঙ্গলবার জেআইটি সদস্যরা পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে যান।
তবে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, পাঠানকোট বিমানঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে জেআইটি সদস্যদের যেতে দেওয়া হবে না। ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) ও সীমান্ত নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) যারা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ৮০ ঘণ্টা লড়াই করেছিলেন, তাদেরও সাক্ষী হিসেবে হাজির করা হবে না। তবে অন্যদের সঙ্গে জেআইটি সদস্যরা কথা বলতে পারবেন। তা ছাড়া, সীমান্তের যে জায়গা দিয়ে সন্ত্রাসীরা পাঠানকোটে এসেছিল, সেই স্থানেও জেআইটি সদস্যদের নিয়ে যাওয়া হবে।এই মিটিংয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি বিরোধীরা। কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির প্রশ্ন, যারা অপরাধী তাদেরই তদন্ত করতে আসার অনুমতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে সরকারের দেউলিয়াপনারই পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে।

এর আগে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশদ্রোহী অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কানহাইয়া কুমারকে সমর্থন করায় কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দায়ের করা হয়েছে।সূত্র: জি-নিউজ।

/এএ/