ফুকুশিমার দূষিত পানি সমুদ্রে ছাড়বে জাপান

জাপান সরকার ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে নির্গত ১০ লাখ টনের বেশি দূষিত পানি সমুদ্রে ছাড়াতে চলেছে। মঙ্গলবার দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই ঘোষণায় জাপানের প্রতিবেশী কয়েকটি দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, আগে থেকেই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এসেছিল জাপানের মৎস্যজীবীরা। কিন্তু এসব বিরোধিতা উপেক্ষা করে পারমাণবিক চুল্লি থেকে নির্গত পানি সমুদ্রে ছাড়ার কথা ঘোষণা করলো কর্তৃপক্স। পরমাণু কেন্দ্রে এই পানি চুল্লিকে ঠান্ডা রাখতে ব্যবহৃত হয়। ব্যবহারের পর তা নিরাপদে সংগ্রহ করে রাখা হয় পরমাণু কেন্দ্রের মধ্যেই। পরমাণু চুল্লির এই পানি দীর্ঘদিন সমুদ্রে ছাড়া হয়নি। আবার এই প্রক্রিয়া শেষ করতে কয়েক দশক লেগে যাবে।

এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে জাপানের ঘরে-বাইরে। তবে জাপান সরকার সবাইকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই বর্জ্য পানি থেকে সব রকম তেজস্ক্রিয় উপাদান সরানো হয়েছে। এই পানিতে কারও কোনও ক্ষতি হবে না।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়েছে, গোটা বিশ্বে যেভাবে পরমাণু কেন্দ্রের পানি সমুদ্রে ছাড়া হয়, এটাও সেই প্রক্রিয়া। জাপানের এই প্রক্রিয়াকে ইতোমধ্যে ছাড়পত্র দিয়েছে আইএইএ।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা জানান, এটি একটি ‘অনিবার্য প্রক্রিয়া’। পানি ছাড়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ রূপে নিরাপদ প্রমাণ হওয়ায় এবং সম্ভাব্য সব রকম ক্ষতি রোধ করা যাবে এটা নিশ্চিত করার পরই তা শুরু করা হবে।

জাপানের এই পরমাণু কেন্দ্রটি ২০১১ সালের সুনামির পর থেকে বিকল হয়ে যায়। পরমাণু কেন্দ্রের ট্যাঙ্কগুলোতে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টন এমন পানি জমে আছে। এই পানি নিয়ন্ত্রিতভাবে মুক্ত না করলে পারমাণবিক কেন্দ্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে।