জাপানের চিড়িয়াখানায় জায়ান্ট পান্ডার যমজ শাবকের জন্ম

জাপানের একটি চিড়িয়াখানায় দুইটি শাবকের জন্ম দিয়েছে একটি জায়ান্ট পান্ডা। বুধবার টোকিওর উয়েনো চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার শাবক দুটির জন্ম দেয় শিন শিন নামের পান্ডাটি। গত চার বছরের মধ্যে এটাই প্রথম কোনও পান্ডার জন্ম। তবে শাবকদের লিঙ্গ এখনও নির্ধারণ করা যায়নি।

আটক কিংবা বণ্য পরিবেশ সব জায়গাতেই জায়ান্ট পান্ডার বংশবৃদ্ধি করানো কঠিন। টিকে আছে আর মাত্র কয়েক হাজার। পরিবেশবিদরা এই প্রজাতিটিকে বিপন্ন ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রেখেছেন।

উয়েনো চিড়িয়াখানার পরিচালক ইয়োতাকা ফুকুডা জানান, প্রথমবারের মতো সেখানে পান্ডার দুই শাবকের জন্ম হয়েছে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় শাবকটির জন্মের খবর শুনে আমি চিৎকার করে উঠি।’

জায়ান্ট পান্ডার একসঙ্গে দুই শাবকের জন্ম দেওয়ার ঘটনা বিরল। সেই কারণে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ একটি শাবককে ইনকিউবেটরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চিড়িয়াখানার মুখপাত্র নাওয়া ওহাসি বলেন, ‘মা পান্ডা যখন একটিকে দুধ পান করাবে তখন অন্যটিকে ইনকিউবেটরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’ দুইটি শাবকই যেন প্রাকৃতিক দুধ পানের সুযোগ পায় সেকারণে তা বদলানো হবে বলেও জানান তিনি।

চিড়িয়াখানার কর্মীদের ধারণা গত মার্চে ১৫ বছরের শিন শিন তার পার্টনার রি রি’র সঙ্গে মিলিত হওয়ার পর গর্ভবতী হয়। কয়েক সপ্তাহ আগে তার গর্ভধারণ নিশ্চিত হওয়া যায়।

এই গর্ভধারণের খবর প্রকাশের পরই চিড়িয়াখানা সংশ্লিষ্ট রেস্টুরেন্ট চেইনগুলোর শেয়ারের মূল্য বেড়ে যায়। জাপানের পর্যটন অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পান্ডা। ফলে চিড়িয়াখানায় দর্শকদের আনাগোনা বাড়ার সম্ভাবনা থেকেই রেস্টুরেন্টের শেয়ারের দাম বাড়ে।

শিন শিন ও রি রি উভয়কেই চীন থেকে জাপানে নেওয়া হয়। ২০১৭ সালে তারা জিয়াং জিয়াং নামের আরেকটি শাবকের জন্ম দেয়। এছাড়া ২০১২ সালে আরেকটি শাবক জন্ম দিলেও মাত্র ছয় দিনের মাথায় সেটি মারা যায়।