জাপানের চার এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি

জাপানের বন্দরনগরী ওসাকা এবং রাজধানী টোকিও সংলগ্ন তিন জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ওকিনাওয়া ও রাজধানী টোকিওতে ইতোমধ্যেই জরুরি অবস্থা বহাল রয়েছে। সোমবার এটি সম্প্রসারণ করে নতুন করে আরও চারটি এলাকা এর আওতায় নিয়ে আসা হয়।

এই এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের অনাবশ্যক কারণে বাড়ির বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। খাবারের দোকানগুলোকে রাত ৮টার মধ্যে কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি অ্যালকোহল পরিবেশন না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কানাগাওয়া-র গভর্নর কুরোইওয়া ইউজি বলেছেন, ইতোমধ্যেই কঠোরতর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত পদক্ষেপ আরোপ থাকা সত্ত্বেও নতুন সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। সংক্রমণের এই বৃদ্ধি মূলত পদক্ষেপগুলো পুরোপুরি মেনে চলতে লোকজনের অনীহার প্রতিফলন।

কুরোইওয়া উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার ব্যাপারেও সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন, লোকজন অ্যাম্বুলেন্স ডাকলে তা নাও আসতে পারে। এমনকি এলেও রোগীদের গ্রহণ করার মতো কোনও হাসপাতাল নাও থাকতে পারে।

সাইতামা’র গভর্নর ওনো মোতোহিরো বলেন, তার জেলা এখন একটি সংকটজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি যেখানে কোভিড-১৯ রোগীদের ভিড়ে হাসপাতালগুলো হিমশিম খাচ্ছে। এটি অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

তিনি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর সামর্থ্য বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। কেন্দ্রীয় সরকার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, অতি সংক্রামক ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট জাপানে অতিরিক্ত ঝুঁকি তৈরি করেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী তামুরা নোরিহিসা জনসাধারণের প্রতি উচ্চ মাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তাদের বাস্তব পরিস্থিতি অনুধাবন এবং সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।

ভাইরাস মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সরকারিভাবে টোকিও এবং ওসাকা থেকে বিমানে হোক্কাইদো, ওকিনাওয়া এবং ফুকুওকায় যাওয়া ব্যক্তিদের বিনামূল্যে পিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সূত্র: এনএইচকে।