কিউবার সংসদে পাস হলো নতুন সংবিধান, এখন গণভোটের অপেক্ষা

শনিবার (২২ ডিসেম্বর) সংসদে নতুন সংবিধানের খসড়া সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন কিউবার আইন প্রণেতারা। নতুন সংবিধানে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা রাখা হলেও আর্থ-সামাজিক দিক থেকে উদার হওয়ার হওয়ার বৈশিষ্ট্য দেখা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সংসদে পাস হয়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে এখন এই সংবিধানটির ওপর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। গণভোটে রায় পক্ষে গেলে এটাই হবে কিউবার নতুন সংবিধান। আগামী ২৪ ফেব্রিয়ারিতে গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।কিউবার সংসদে রাউল কাস্ত্রো

কিউবার নতুন সংবিধানে ২২৯টি ধারা। এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা এবং কমিউনিস্ট সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় যুক্ত করা হয়েছে তাতে। নতুন সংবিধানে বৈধতা দেওয়া হয়েছে সমকামী বিয়েকে।  বিদেশি বিনিয়োগের গুরুত্ব স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিখাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুমোদন দেওয়া থেকে শুরু করে সম্পত্তির ব্যক্তিগত মালিকনার স্বীকৃতিও দেওয়া হয়েছে।

প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ও বয়স নিয়ে নির্দেশনা আছে নতুন সংবিধানে। বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রো ও তার ভাই রাউল কাস্ত্রো প্রায় ছয় দশক ধরে কিউবা শাসন করছেন। বর্তমান সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধানও ছিলেন রাউল। সাতশোর বেশি সংশোধনী গ্রহণ করা নতুন সংবিধানের বিষয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ডায়াজ সংসদে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, এই সংবিধান প্রণয়ন প্রক্রিয়া ‘জনগণের ক্ষমতার’ প্রকৃত প্রমাণ।

তবে সমালোচকরা বলছেন, কিউবার শাসন কাঠামো এখনও কোনও প্রকৃত আলোচনার উপযুক্ত নয়। তারা জনগণের নামে নিজেদের ইচ্ছামত সংশোধনী গ্রহণ করেছে। কিউবার বিরোধী রাজনীতিবিদরা ইতোমধ্যে নতুন সংবিধানের বিরুদ্ধে টুইটারে প্রচারণা চালাতে শুরু করেছে।

বিয়েকে নারী ও পুরুষের মধ্যকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করার বদলে  বদলে দুই ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল জুলাই মাসে প্রকাশিত নতুন সংবিধানের প্রথম সংস্করণে। পরে সমালোচনার মুখে পরের সংস্করণে ওই ধারাটি বিলুপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, এর অর্থ নতুন সংবিধানেও সমকামীদের বিয়েতে স্পষ্ট কোনও নিষেধাজ্ঞা রাখা হয়নি।

রাউল কাস্ত্রোর মেয়ে মারিয়েলা কাস্ত্রো দীর্ঘদিন ধরে লিউবায় এলজিবিটি অধিকার নিয়ে কাজ করে আসছেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, কোনও ‘পশ্চাৎগমন’ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন না।