বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর।
গত সোমবার সৌদি আরবের জেদ্দায় দুই রাষ্ট্র নেতার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কাতারের কূটনৈতিক সংকট সমাধানে মধ্যস্ততার চেষ্টা করেন নওয়াজ শরিফ। তার পক্ষে জানানো হয়, সংকট সমাধানের জন্য পাকিস্তান কোনও পক্ষে অবস্থান নিতে চায় না। এরপরই সৌদি বাদশা নওয়াজ শরিফের কাছে জানতে, পাকিস্তান কার পক্ষে অবস্থান করছে।
সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, বৈঠকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সৌদি আরবের পক্ষে অবস্থান না নিয়ে রিয়াদের হয়ে তারা কাতারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আগ্রহী। এ জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কুয়েত, কাতার ও তুরস্ক সফর করবেন।
নওয়াজ শরিফের সৌদি আরব সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন সেনা প্রধান জেনারেল ওমর জাভেদ বাওজা।
খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মধ্যস্ততা করার চেষ্টায় সংকট সমাধানে কোনও সুফল আসেনি। অবশ্য সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুসলিম বিশ্বের বৃহত্তর স্বার্থে উপগসাগরীয় অঞ্চলে চলমান কূটনৈতিক সংকটের সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, ৫ জুন ২০১৭ সোমবার কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় ছয়টি আরব দেশ। দেশগুলো হচ্ছে: সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন, লিবিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন। দেশগুলোর পক্ষ থেকে কাতারের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি ও সন্ত্রাসবাদ উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর।
/এএ/