গাজায় হামাসের সুড়ঙ্গ ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের দিকে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ঙ্গ ধ্বংসের দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের সংগঠন হামাস সুড়ঙ্গটি খুড়ছিল বলে অভিযোগ তাদের। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডলইস্ট মনিটর এ খবর জানিয়েছে।

2017_3-11-Israel-destroys-Gaza-cross-border-tunnel20171103_2_26660365_27463603

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির পর ফিলিস্তিনজুড়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী এমন দাবি করলো। এর আগে গাজা সীমান্তে পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমের কথা অস্বীকার করেছিল ইসরায়েল। এছাড়া প্রায় এক দশকের অবরোধের পর মিসরের মধ্যস্থতায় গাজার দায়িত্ব হামাসের কাছ থেকে পশ্চিমা সমর্থিত প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে হস্তান্তরের প্রাক্কালে এ  ঘটনা ঘটলো। রবিবারের মধ্যে তাদের এই দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা রয়েছে।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও মিসরের দীর্ঘ এক দশকের অবরোধের ফলে সেখানকার ২০ লাখ বাসিন্দা এসব সীমান্ত সুড়ঙ্গের ওপর নির্ভরশীল। খাবার, জ্বালানি ও ওষুধের মতো সামগ্রীর জন্য তারা এসব সুড়ঙ্গের ওপর নির্ভর করেন। এছাড়া ২০১৪ সালের যুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে হামাস সদস্যরা সুড়ঙ্গগুলো ব্যবহার করেছিল। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরায়েল বিভিন্ন সময় অনেক সুড়ঙ্গ ধ্বংস করেছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘রবিবার ধ্বংস করা সুড়ঙ্গটি ইসরায়েলের ভেতরে একশ মিটার এসেছে। শেষ না হলেও সুড়ঙ্গটি হামাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা ছিল।’ কিন্তু সুড়ঙ্গটির নির্মাণে হামাসের জড়িত থাকার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হয়েছেন তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। সুড়ঙ্গটি ইসরায়েলের নিকটবর্তী বেসামরিক বসতির এক কিলোমিটারের মধ্যেই ছিল।

কিন্তু এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হামাসের মন্তব্য জানাতে পারেনি মিডলইস্ট মনিটর।

গত ৩০ অক্টোবর  সোমবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি সুড়ঙ্গে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হন। আহত হন আরও ৯ জন। খান ইউনিসের ওই সুরঙ্গে ইসরায়েলই হামলা চালিয়েছে। দেশটির বার্তা সংস্থা ওয়াফা দাবি করে, সুড়ঙ্গে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ওই হামলার মাধ্যম সুড়ঙ্গের হুমকি মোকাবিলায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করার দাবি করেছিল ইসরায়েল।

কনরিকাস আরও বলেন, আমাদের জানা মতে রবিবারের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে গাজার বন্দুকধারীদের জন্য সুড়ঙ্গটি মৃত্যু ফাঁদ হয়ে থাকতে পারে। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এ ধরনের সন্ত্রাসী সুড়ঙ্গ খুঁজে বের করে ধ্বংস করা অব্যাহত রাখবে।