ইউরোপে তুর্কিদের ওপর হামলার আহ্বান ইরানি কুর্দির

ইউরোপজুড়ে তুর্কি সম্প্রদায়ের ওপর হামলার চালাতে কুর্দিশ পিপলস’ প্রটেকশন ইউনিটিস মিলিশিয়া (ওয়াইপিজি) সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটি এক ইরানি সদস্য। হেবিন আরগেশ নামের ওই কুর্দি ইরানি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইউরোপে তুরস্কের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কাজের কিছু না। এরচেয়ে যদি তুরস্কের দূতাবাস, তুর্কিদের দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রেস্তোরাঁয় হামলা চালানো হয় তাহলে কার্যকর হবে। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এখবর জানিয়েছে।

2015_2-28-YPG-fighters16672139605_f06a277354_o

৯ অক্টোবর সিরিয়ার তুর্কি সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে কুর্দি বিদ্রোহীদের উৎখাতে পিস স্প্রিং অভিযান শুরু করে তুরস্ক। তার আগমুহূর্তে ওই অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়। বেশ কয়েক দিনের অভিযানের পর ওই অঞ্চল থেকে কুর্দি বিদ্রোহীদের সরিয়ে দিতে ওয়াশিংটন ও মস্কোর সঙ্গে আঙ্কারা পৃথক দুটি চুক্তি করে। আট বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের শুরু থেকেই ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি দামেস্ক। অক্টোবরের শুরুতে সিরীয় কুর্দি বাহিনীর কাছ থেকে সীমান্তবর্তী গ্রাম রাস আল আইনের দখল নেয় তুর্কি সেনারা। পরে তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ) অভিযান চালিয়ে কুর্দিদের সরিয়ে দিয়ে গ্রামটির দক্ষিণাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

ইরানি কুর্দি হেবিন আরগেশের কাছ থেকে এমন আক্রমণাত্মক আহ্বান এমন সময় আসলো যখন ইউরোপের বিভিন্নস্থানে অপারেশন পিস স্প্রিংয়ের প্রতিবাদে তুরস্ক ও তুর্কিদের দোকানের সামনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশেষ করে গত এক মাস ধরে জার্মানিসহ বিভিন্ন শহরে তুর্কি মালিকানাধীন দোকান ভাঙচুর ও গ্রাফিতি এঁকে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আরগেশ স্বীকার করেছেন, সিরিয়ায় তুরস্কের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এমন বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ অর্থবহ। তবে ঘটনা ঠেকাতে কোনও প্রভাব ফেলেনি। তিনি বলেন, এখন আপনারা বলে বসবেন না তুর্কি মানুষদের সঙ্গে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। ঘটনা উল্টো, এখন তুর্কিদের সঙ্গে কুর্দিদের একটি সমস্যা থাকা উচিত।

ইতোমধ্যে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় দরবাসিয়া শহরের কাছে সীমান্তবর্তী এলাকায় আকাশ ও স্থলপথে যৌথ টহল শুরু করেছে তুরস্ক ও রাশিয়া। এই অভিযানে তুরস্কের বিরুদ্ধে ফসফরাস ব্যবহার ও তুর্কি সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে।