ইসরায়েল-গাজা ‘অস্ত্র বিরতি’ শুরু, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২

গাজায় দুই দিন ধরে ইসরায়েলি হামলার পর উভয় পক্ষ অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। মিসর, জাতিসংঘ ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল অস্ত্রবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। আর হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুই দিনের ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে।

_109659611_israel

মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইসরায়েলি বিমান হামলায় পিআইজে কমান্ডার নিহত হলে এই সহিংসতা শুরু হয়। পিআইজের অন্যতম শীর্ষনেতা আবু আল আত্তা (৪২) ও তার স্ত্রীকে হত্যা করে দখলদার বাহিনী। অন্যদিকে সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে  হত্যা করা হয় তাদের ছেলেকেও। এই আগ্রাসনের জবাবে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোরে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া শুরু হয়। এরপরই গাজায় বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েল। দুই দিনের ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক।

পিআইজে’র এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, গাজার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে অস্ত্রবিরতি শুরু হয়েছে।

মিসরের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, মিসরের মধ্যস্থতায় এই অস্ত্রবিরতি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি বিষয়ক দূত নিকোলাই ম্লাদেনভ বলেছেন, জাতিসংঘ ও মিসর উভয় পক্ষই গাজাকে ঘিরে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে অগ্রসরতা ঠেকাতে কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এক টুইট বার্তায় তিনি উভয় পক্ষকে প্রাণহানি এড়াতে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, একটি রকেট নিক্ষেপ ছাড়া গাজা মূলত নীরব ছিল। তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সাড়ে ছয়টার পরও সতর্কতা সংকেত বাজিয়ে গেছে।

এর আগে গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, রকেট হামলা বন্ধ না হলে ইসরায়েল কোনও দয়া দেখাবে না। তারা হামলা চালিয়েই যাবে।