সিরীয় সীমান্তে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ তুরস্কের

তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিরীয় সীমান্তে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে আঙ্কারা। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

c73fb50c-7626-40cc-94b1-a29134610243_16x9_788x442

যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘সম্প্রতি আমরা প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য অনুরোধ পেয়েছি। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনও কোনও সীদ্ধান্ত হয়নি।’

বুধবার তুরস্কের এক কর্মকর্তার বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়, রাশিয়া সমর্থিত সিরীয় বাহিনীর ভবিষ্যৎ হামলা থেকে তুরস্ককে মুক্ত রাখতে সীমান্তে দুটি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানিয়েছে আঙ্কারা। বর্তমানে সেখানে সিরীয় বাহিনী ও তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহীরা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।

সম্প্রতি সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সর্বশেষ অবস্থান ইদলিবের দখল নিতে রুশ বিমান বাহিনীর সহায়তায় অভিযান জোরালো করেছে সিরীয় বাহিনী। এতে আঙ্কারা সমর্থিত বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেখানে সরকারি বাহিনীর লড়াই চলছে।

শুক্রবার তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সিরীয় বাহিনীর হামলায় তাদের দুই সেনা নিহত ও অপর পাঁচ জন আহত হয়েছে। পাল্টা হামলায় ৫০ জনেরও বেশি সিরীয় সেনাকে হত্যার দাবি করেছে তারা। তবে সিরীয় যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একটি ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা জানিয়েছে, পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর দেশ ছেড়ে পালিয়েছে দেশটির অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। এদের বেশিরভাগই আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী তুরস্কের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে। ইদলিবে সিরীয় বিদ্রোহীদের সমর্থনে ২০১৭ সাল থেকেই সেনা মোতায়েন রেখেছে তুরস্ক। নতুন করে শরণার্থী সংকটের আশঙ্কায় ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে সিরীয় সীমান্তে ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া যানসহ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে তুরস্ক।