অবশেষে বাদশাহর আনুগত্য স্বীকার জর্ডানের প্রিন্সের

অভ্যুত্থানচেষ্টার অভিযোগে ‘গৃহবন্দি‌’ হওয়া জর্ডানের প্রিন্স হামজা বিন হুসেইন অবশেষে বাদশাহর আনুগত্য স্বীকার করতে রাজি হয়েছেন। ক্ষমতাসীন আল হাশেমি পরিবারের ঐতিহ্য ও বিধিবিধান মেনে চলারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। সোমবার দেশটির রাজকীয় আদালতের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সোমবার বাদশাহর চাচা প্রিন্স হাসানসহ রাজপরিবারের ঊর্ধ্বতন সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বাদশাহর আনুগত্য স্বীকার সংক্রান্ত চিঠিতে স্বাক্ষর করেন প্রিন্স হামজা।

চিঠিতে দেশটির সাবেক এই যুবরাজ বলেন, ‘আমি নিজেকে বাদশাহর কাছে সোপর্দ করে দিলাম। প্রিয় আল হাশেম রাজপরিবারের সংবিধানের প্রতি আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো এবং বাদশাহ ও যুবরাজকে সব সময় সহায়তা দিয়ে যাবো।’

বর্তমানে গৃহবন্দি প্রিন্স হামজা বিন হোসেন জর্ডানের বর্তমান বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ-এর সৎ ভাই। সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় তিনি দাবি করেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তার বাড়ি থেকে বের হওয়া এবং কারও সঙ্গে যোগাযোগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দেশের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অযোগ্যতা এবং হয়রানির অভিযোগ তোলেন তিনি।

জানা গেছে, সম্প্রতি দেশের উপজাতি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত করে তাদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন প্রিন্স হামজা। এ ঘটনায় সরকারের মধ্যে অভ্যুত্থানচেষ্টার আশঙ্কা জোরালো হয়। প্রতীয়মান হয় যে, বর্তমান বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই উপজাতি নেতাদের সঙ্গে ওই বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন তিনি। প্রিন্স হামজা কোনও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার খবর অস্বীকার করলেও তাকে গৃহবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। গ্রেফতার করা হয় অন্তত ১৬ কর্মকর্তাকে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জর্ডানের বাদশা আবদুল্লাহ-এর প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে সৌদি আরব, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো। এক পর্যায়ে রাজপরিবারের ঊর্ধ্বতন সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বাদশাহর আনুগত্য স্বীকার সংক্রান্ত চিঠিতে স্বাক্ষর করেন প্রিন্স হামজা।