গাজা টাওয়ার গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সর্বশেষ চালানো হামলায় বিধ্বস্ত হয়ে গেছে গাজা টাওয়ার। এটি হামাসের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো বলে ধারণা করা হয়। এই হামলার জবাবে ইসরায়েলের তেল আবিব শহর লক্ষ্য করে অন্তত ১৩০টি রকেট হামলা চালানো হয়েছে। এদিকে গাজা উপত্যকায় অব্যাহত বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে।

পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার অর্থাৎ জুমাতুল বিদা উপলক্ষে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে জড়ো হলে তাদের ওপর অভিযান চালায় ইসরায়েলি পুলিশ। পরদিন পবিত্র শবে কদরের রাতেও তাদের উপর তাণ্ডব চালানো হয়। এতে শত শত ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীরা রকেট হামলা চালিয়েছে এমন অভিযোগে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করেছে দখলদার বাহিনী।

মঙ্গলবার রাতে বিমান হামলা চালিয়ে ১৩ তলার গাজা টাওয়ার গুড়িয়ে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এর দেড় ঘণ্টা আগেই ভবনটির বাসিন্দা ও স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

অব্যাহত বিমান হামলার জবাবে ইসরায়েলি শহর তেল আবিব লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে গাজার শাসক দল হামাস। দলটির সশস্ত্র শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তেল আবিব লক্ষ্য করে ১১০টি এবং বিরসিভা লক্ষ্য করে একশ’ রকেট হামলা চালানো হয়েছে। বেসামরিক মানুষের ওপর হামলার জবাবে এসব রকেট হামলার দাবি করেছে তারা।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত সোমবার ইসরায়েলি বিমান হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকা তেল আল-হাওয়ার এক বাড়িতে চালানো বিমান হামলায় গর্ভবতী এক নারী ও তার পাঁচ বছর বয়সী ছেলে নিহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে জেরুজালেমে যে সহিংসতা চলছে তা ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে তীব্র। পূর্ব জেরুজালেম থেকে ইহুদি দখলদাররা ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের বিতাড়িত করার হুমকি দেওয়ার পর শুরু হয় বিক্ষোভ। আর এই বিক্ষোভ দমনে সহিংসতা চালানো শুরু করে ইসরায়েল।

সূত্র: বিবিসি ও আল জাজিরা