গাজায় স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীরা রকেট ছুড়ে প্রতিরোধ জারি রাখলেও গাজায় হামলা জোরালো করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। শুক্রবার পঞ্চম দিনে বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল বাহিনীও হামলায় অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। গানবোট, যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করে গাজায় বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ১০৯ ফিলিস্তিনির মৃত্যুর কথা জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার গাজার বাসিন্দারা ঈদুল ফিতর উদযাপন করলেও রক্ষা পায়নি ইসরায়েলি বিমান হামলা থেকে। ইসরায়েলের চালানো এই আগ্রাসনের প্রভাব নিজ দেশেও পড়তে শুরু করেছে। দেশটির বিভিন্ন শহরে আরব ও ইহুদি জনগোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয়েছে দাঙ্গা। দীর্ঘদিন ধরে চলা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের নতুন রূপ হিসেবে দেখা হচ্ছে ইসরায়েলের এই অভ্যন্তরীণ দাঙ্গা।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্তজ বলেছেন, অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা এড়ানোর নির্দেশ দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে চার শতাধিক মানুষকে।

শুক্রবার সকালে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। তিনি বলেন, গাজার শাসক দল হামাসকে চরম মূল্য দিতে হবে। তবে হামাসের এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে কঠিন শিক্ষা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

নেতানিয়াহুর বিবৃতির কিছুক্ষণ পরই গাজার আকাশে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটতে দেখা গেছে। গাজা থেকে পাল্টা রকেটও ছোড়া হচ্ছে। ইসরায়েলের আশকেলন, আশদুদ, বিরশেবা ও ইয়াভনে শহর লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া হচ্ছে।