গাজার শরণার্থী শিবিরেও ইসরায়েলের হামলা, শিশুসহ নিহত ১০

গাজা উপত্যকায় পাঁচ রাত ধরে অব্যাহত বোমা হামলার পর সেখানকার একটি শরণার্থী শিবিরেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শনিবার গাজার সাতী শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলায় আট শিশুসহ অন্তত দশ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া ওই হামলায় এক নবজাতকসহ আরও ১৫জন আহত হয়েছে। ধ্বংসস্তুপের নিচে আর কেউ চাপা পড়ে আছে কিনা তা খুঁজে দেখা অব্যাহত রেখেছে উদ্ধারকারীরা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। গত সোমবার থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১৫০ জনকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। এর মধ্যে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ১৩৯ জন এবং পশ্চিম তীরে ১১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২২ নারী এবং ৪০ শিশুও রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে কমপক্ষে আরও ৯৫০ জন। পাল্টা প্রতিরোধ হিসেবে হামাসের রকেট হামলায় অন্তত আট ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।

শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলায় আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছেন আল শিফা হাসপাতালের চিকিৎসক নাবিল আবু আল রিস। তিনি বলেন, হতাহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এখনও বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের।

হামলার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কোনও ধরনের সতর্কতা ছাড়াই ওই শরণার্থী শিবিরে হামলা চালানো হয়। তিনি বলেন, আমরা দৌড়ে বাইরে এলাম, দেখতে পেলাম ৪তলা ভবনটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেলো। সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেলো।

ওই প্রত্যক্ষদর্শী জানান, হামলার সময়ে ভবনটিতে ছিলেন মালিকের বোন ও তার সন্তানেরা। তিনি বলেন, তাদের সবাই নিহত হয়েছে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী গাজা উপত্যকার তৃতীয় বৃহত্তম শরণার্থী শিবির সাতী। এখানে ৮৫ হাজারের বেশি শরণার্থীর বাস। মাত্র আধা বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে এসব শরণার্থীরা বসবাস করে।