‘তিমির বমি’তে ভাগ্য ফিরলো ৩৫ জেলের

রাতারাতি ভাগ্য বদলে গেছে ইয়েমেনের একদল জেলের। সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে তারা খুঁজে পান স্পার্ম তিমির একটি মৃতদেহ। তার তাতেই মিলেছে গুপ্তধন। মৃতদেহটি কাটার পর তার পাকস্থলীতে পাওয়া যায় মোমের মতো নরম আর কালো একটি আঠালো পদার্থ। আসলে গেছে তারা পেয়ে যান তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিস নামের মূল্যবান একটি পদার্থ। যার মূল্য প্রায় ১৫ লাখ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ ১২ কোটি টাকারও বেশি।

দক্ষিণ ইয়েমেনের এডেন উপকূলে মাছ ধরার সময় আকস্মিকভাবে বিশালাকৃতির স্পার্ম তিমির মরদেহটি দেখতে পায় ৩৫ জন জেলের দলটি। পরে সেটি উপকূলে এনে কাটার পর তাতে পাওয়া যায় অ্যাম্বারগ্রিজ।

অ্যাম্বারগ্রিজ বা তিমির বমি মূলত কঠিন, মোমের মতো নরম এবং দাহ্য এক ধরনের বস্তু। যা স্পার্ম তিমির খাবার পরিপাকতন্ত্রের অভ্যন্তরে তৈরি হয়। এর রং খানিকটা কালো হয়ে থাকে। অ্যাম্বারগ্রিজ মূল্যবান হয়ে ওঠার কারণ এটি মূলত সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহার হয়। দীর্ঘ সময় ধরে সুগন্ধি ধরে রাখতে ব্যবহার হয় এটি।

সিরিয়ার জেলেদের দলটি তিমির পেটে আঠালো বস্তুটা পাওয়ার পরই বুঝতে পারেন তারা মূল্যবান কিছু একটা পেয়েছেন। এক জেলে বলেন, আমরা যখন এটির কাছাকাছি পৌঁছালাম তখনই জোরালো গন্ধ পাই আর আমাদের মনে হয় এই তিমিতে কিছু একটা আছে। তিনি বলেন, ‘আমরা তিমিটিকে বশিতে গেঁথে উপকূলে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই আর এর পেটে কী আছে দেখতে কেটে ফেলি আর হ্যাঁ অ্যাম্বরগ্রিজ পেয়ে যাই। গন্ধটা খুব ভালো ছিলো না-কিন্তু বহু টাকা দাম।’

১২৭ কেজি ওজনের অ্যাম্বরগ্রিজটি থেকে পাওয়া অর্থ জেলে দলের সদস্যরা সবাই সমান ভাগে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া কিছু অর্থ নিজেদের জনগোষ্ঠীর দরিদ্র মানুষকে দান করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে থাইল্যান্ডে চালেরমচাই মাহাপন নামে ২০ বছর বয়সী এক জেলে সামিলা বিচ থেকে সাত কেজি ওজনের একটি অ্যাম্বরগ্রিজ পান। সেটি বিক্রি করে তিনি প্রায় এক লাখ ৭১ হাজার ইউরো আয় করেন।