নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ নেতানিয়াহুর

কোনও ধরনের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাকে ক্ষমতা থেকে নতুন গঠিত জোটের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন তিনি। নেতানিয়াহু বলেন, এই জোট হলো গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাচন জালিয়াতির ফলাফল। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

টানা ১২ বছর ধরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে এবার তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে জোটবদ্ধ হয়েছে দেশটির আটটি ভিন্ন দর্শনের রাজনৈতিক দল। নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও নেতানিয়াহুকে হটাতেই জোটবদ্ধ হয়েছে তারা।

এমন পরিস্থিতিতি নিজের ডানপন্থী লিকুদ পার্টির আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাচন জালিয়াতি প্রত্যক্ষ করছি, আমার মতে যে কোনও গণতান্ত্রিক দেশের ইতিহাসেই এটা সবচেয়ে বড় জালিয়াতি।’ ক্ষমতা থেকে সরলে দুর্নীতির অভিযোগে চলতে থাকা বিচারে কারাগারে যেতে হতে পারে নেতানিয়াহুকে। প্রতিদ্বন্দ্বি জোটকে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হারাতে সমর্থকদের আহ্বান জানান তিনি।

গত শনিবার ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেট এক বিরল বিবৃতি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহিংসতার উস্কানি দেওয়া হচ্ছে বলে সতর্ক করেন। নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও গ্রুপ এই উস্কানি দিচ্ছে বলে সতর্ক করেন তিনি। বিরোধী রাজনীতিবিদদের দাবি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেই এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

রবিবার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, রাজনৈতিক সমালোচনা এবং সহিংসতায় উস্কানির মধ্যে খুবই ছোট পার্থক্য আছে। ডানপন্থীদের দিক থেকে যখন সমালোচনা আসে তখন আমরা বলতে পারি না যে সহিংসতায় উস্কানি দেওয়া হচ্ছে আবার বামপন্থীদের দিক থেকে যখন সমালোচনা আসে তখন তাকে বাকস্বাধীনতা দিয়ে ন্যায্যতা দেওয়া যায় না।’ তিনি বলেন, ‘আমি সহিংসতায় সব ধরনের উস্কানির নিন্দা জানাই।’