তুর্কি সামরিক ড্রোন কিনছে লাটভিয়া?

পোল্যান্ডের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোভুক্ত দ্বিতীয় দেশ হিসেবে তুর্কি ড্রোন কিনতে যাচ্ছে লাটভিয়া। তুরস্ক সফররত লাটভিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী আর্টিস পাব্রিকস তুর্কি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।

আর্টিস পাব্রিকস-এর নেতৃত্বে লাটভিয়ার একটি প্রতিনিধি দল সোমবার তুরস্ক সফরে যায়। দুই দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতেই তাদের এ সফর। সফরে আঙ্কারায় তুর্কি সামরিক ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ও কারখানা ঘুরে দেখেন তারা। পাব্রিকস বলেন, ‘তুরস্কে এ শিল্পের গবেষণা ও বিকাশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মান রয়েছে। ন্যাটো মিত্র হিসেবে আমরা এটিকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছি।’

মঙ্গলবার তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা হয় লাটভিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রীর। প্রতিরক্ষা খাত ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন দুই নেতা।

এর আগে গত মাসে ন্যাটোভুক্ত প্রথম কোনও দেশ হিসেবে তুরস্কের কাছ থেকে সামরিক ড্রোন কেনার ঘোষণা দেয় পোল্যান্ড। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তুরস্কের কাছ থেকে ২৪টি সশস্ত্র ড্রোন কেনা হবে। বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোনগুলো আগামী বছর পোল্যান্ডকে হস্তান্তর করবে তুরস্ক। এতে ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্র যুক্ত করা হয়েছে।

পোলিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিউসুজ ব্লাসচেক জানান, তুরস্কের কাছ থেকে ড্রোন সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষণ প্যাকেজ কেনা হবে। এই তুর্কি ড্রোনগুলো যুদ্ধে নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়েছে। সেনাবাহিনীর একটি কোম্পানি এগুলো ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তুরস্কের দাবি, প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান পশ্চিমা অস্ত্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। এর ফলে দেশটি এখন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ড্রোন উৎপাদনকারী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তুর্কি কোম্পানি বেয়কার এই ড্রোনটি আজারবাইজান, ইউক্রেন, কাতার ও লিবিয়ার কাছে বিক্রি করেছে। মার্চে এরদোয়ান জানান, সৌদি আরবও তুর্কি ড্রোন সংগ্রহের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।