স্পর্শকাতর সিদ্ধান্তের মুখে ইসরায়েলের নতুন সরকার

দায়িত্ব নিয়েই একটি স্পর্শকাতর সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে ইসরায়েলের নতুন জোট সরকারকে। মঙ্গলবার (১৫ জুন) জেরুজালেমের পুরনো শহরে মুসলিম বসতির ভেতর দিয়ে ইহুদি জাতীয়তাবাদীদের একটি পতাকা মিছিলের অনুমোদন দেওয়া হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেতের নতুন সরকারকে। এই আয়োজনকে ইতোমধ্যে উস্কানি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত মাসে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ এবং আশেপাশের এলাকায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলি পুলিশের সংঘর্ষের স্মৃতি এখনও তাজা। ওই সংঘর্ষ থেকেই অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা ১১ দিন ধরে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। দুই শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যার পাশাপাশি গুড়িয়ে দেওয়া হয় বহু স্থাপনা।

ইসরায়েল ও গাজার শাসক দল হামাসের মধ্যে সম্মত হওয়া যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে আপাত অবসান হয় ওই সংঘাতের। এরই মধ্যে মঙ্গলবার জেরুজালেমে আবারও মিছিল আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে ইসরায়েলি জাতীয়তাবাদীরা।

সোমবার দায়িত্ব নেওয়া নাফতালি বেনেতের নতুন ইসরায়েলি সরকার যদি ওই আয়োজনের অনুমতি না দেয় কিংবা রুট বদলানোর পরামর্শ দেয় তাহলে ডানপন্থী বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হবে তাদের। সোমবার পর্যন্ত ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সুপারিশ অনুযায়ী মিছিলের যাত্রাপথে পুলিশ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

ইসরায়েলের নতুন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার ইওয়াভ সেগালোভিটজ জানিয়েছেন উত্তেজনার সময়ে আগের সরকারও মুসলিমদের স্থানগুলোতে জাতীয়তাবাদীদের পরিদর্শন বন্ধ রেখেছে। তিনি বলেন, ‘মূল বিষয় হলো এই সময়ে সঠিক বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।’

ইহুদি জাতীয়তাবাদীদের পরিকল্পিত ওই মিছিলের দিনটিকে ফিলিস্তিনিরা ক্ষোভ দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতায়্যে বলেন, ‘এটা আমাদের জনগণের জন্য উস্কানি আর আমাদের জেরুজালেম এবং পবিত্র স্থানগুলোতে আগ্রাসন।’ মঙ্গলবার ইসরায়েলি জাতীয়তাবাদীরা ওই মিছিল চালিয়ে গেলে নতুন করে সংঘাত তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে গাজার শাসক দল হামাস।

উল্লেখ্য, পুরনো শহরের অন্তর্ভুক্ত পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের ভবিষ্যত রাষ্ট্রের রাজধানী বানাতে চায় ফিলিস্তিনিরা। তবে ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর থেকে এলাকাটি দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। পুরো জেরুজালেমকেই নিজেদের রাজধানী বানাতে চায় তারা।