‘শুধু ক্ষমা চাইলেই হবে না, যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে’   

কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলায় শিশুসহ ১০ বেসামরিক নগরিক নিহতের কথা স্বীকার করে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিহতদের স্বজন ও আহতরা বলছেন, এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রকে শুধু ‘দুঃখ প্রকাশ’ বা ‘ক্ষমা চাইলেই’ হবে না, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

গত ২৯ আগস্ট চালানো ওই ড্রোন হামলায় আইম্যাল আমাদি তার তিন বছরের কন্যাকে হারান। শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরাকে তিনি বলেন, ‘এই হামলা কারা চালিয়েছে তা ওয়াশিংটনের তদন্ত করা উচিত এবং যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’

‘আমি পরিবরে ১০ সদস্যকে হারিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য সংস্থার কাছে ন্যায় বিচার চাই। আমরা নিরীহ, আমাদের তো কোনও ভুল ছিল না’, বলেন আইম্যাল আমাদি।

আলজাজিরার ওসামা বিন জাভাইদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি খেলনাসহ শিশুদের স্মৃতিচিহ্ন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা আমাদের জানিয়েছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চান। তারা হতাহতদের জন্য ন্যায় বিচার চেয়েছেন এবং সম্ভব হলে তারা আফগানিস্তান ছাড়তে চান।’

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের তদন্তে জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-কের হামলাকারীর গাড়ি লক্ষ্য করে চালানো ড্রোন হামলায় এক ত্রাণ সহায়তা কর্মীসহ তার পরিবারের ৯ সদস্য প্রাণ হারান। এর মধ্যে ৭ শিশু ছিল।

এর আগে ২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দর দিয়ে যখন উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছিল তখন আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় আফগান আইএস। এতে ১৭০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। এর মধ্যে ১৩ মার্কিন সেনা রয়েছে। এরপরই হামলাকারীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন অভিযান পরিচালনায় বেসামরিক মানুষ নিহত হন।