যে কারণে পিছু হটলেন এরদোয়ান

যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০ পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূতদের তুরস্ক থেকে বহিষ্কারের ইস্যুতে দৃশ্যত পিছু হটেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, আপাতত ওই রাষ্ট্রদূতদের ফিরে যেতে হবে না। তাদের ওপর জারি করা নোটিশ ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

কারাবন্দি মানবাধিকার কর্মী ওসমান কাভালার মুক্তির দাবি তোলায় ১০ পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের বহিষ্কারের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এরদোয়ান। এই ১০টি দেশ হলো, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। গত ১৮ অক্টোবর এক যৌথ বিবৃতিতে কাভালার মুক্তি নিশ্চিত করতে তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন আঙ্কারায় নিযুক্ত এই দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় আঙ্কারা।

সোমবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ওই ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত নিজেদের অবস্থান বদল করেছেন। সে কারণেই তিনি কিছুটা নমনীয় হয়েছেন। ঘণ্টাব্যাপী মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এরদোয়ান বলেন, রাষ্ট্রদূতরা শিক্ষা নিয়েছেন এবং এখন থেকে তারা আরও সতর্ক হবেন।

আঙ্কারা বলছে, ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত একটি নতুন বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে তারা বলেছেন, তুরস্কের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা মন্তব্য করতে চান না।

আন্তর্জাতিক কূটনীতির নীতি অনুযায়ী কোনও দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সেই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারেন না। ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এরপরই বরফ কিছুটা গলেছে বলে দাবি এরদোয়ান সরকারের।

তুর্কি সরকার বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে অটল থাকলে ওই কূটনীতিকদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে হতো। এতে আঙ্কারার সঙ্গে পশ্চিমা দুনিয়ার সম্পর্ক কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকতো।

এমনিতেই তুরস্কের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক ক্রমশ জটিল হচ্ছে। তার মধ্যে রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কার করলে কার্যত সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হতো। বিষয়টি আঁচ করতে পেরেই আগের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেন এরদোয়ান।অন্যদিকে, ১০ পশ্চিমা দেশও প্রকাশ্যে বিবাদে জড়াতে চায়নি। এমন বাস্তবতায় উভয় পক্ষই কিছুটা নমনীয় হয়েছে। সূত্র: ডিডব্লিউ।